Egra Blast: মারা গিয়েছেন স্বামী, বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার ভানু বাগের স্ত্রী
এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের স্ত্রী গীতারানি বাগকে গ্রেফতার করল সিআইডি। গত সপ্তাহেই মারা গিয়েছেন এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। ওড়িশার কটকে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ভানু বাগের। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে। বয়ান দেওয়ার আগেই মারা যান ভানু বাগ। এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। রাজ্য জুড়ে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে।
এগরায় ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ভানু বাগ নিজেও রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই পোড়া শরীর নিয়ে এগরার খাদিকুল গ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার কটকে তার সন্ধান মেলে দুর্ঘটনার ২ দিন পরে।
কটকের হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল ভানু বাগের। কিন্তু শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। ভানু বাগের স্ত্রীর সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ এবং সিআইডি। বুধবার সকালে মেদিনীপুেরর রামনগরে ভানু বাগের স্ত্রী গীতারানি বাগের সন্ধান পায় সিআইডি।
বিস্ফোরণের পর ভানু বাগ ওড়িশায় পালিেয় যাওয়ার পর গীতারানি বাগ রামনগরে ভাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর আগেই ভানু বাগের ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
তাঁর আরও দুই ভাইপোর সন্ধানে তল্লাশি চালানে হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার এনআইএ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় হাইকোর্ট যদিও সিআইডির উপরেই আস্থা রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এনআইএ তদন্তে তাঁর আপত্তি নেই। যদিও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে চলছে তদন্ত।
এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েিছল। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন এগরা থানার এসআই ভানু বাগের কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা করে নিতেন। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন তিনি।