২৫০ বছরের ঐতিহ্য, করোনা আবহে নিয়মরক্ষার্থের পুজো হবে মহিষাদল রাজবাড়িতে
২৫০ বছরের ঐতিহ্য, করোনা আবহে নিয়মরক্ষার্থের পুজো হবে মহিষাদল রাজবাড়িতে
আর মাত্র তিনদিনের অপেক্ষা এরপরই মা দুর্গার আগমন ঘটবে বঙ্গে। করোনা সঙ্কটের মধ্যেও এ বছর রাজ্যজুড়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় থিম পুজোর আতিশয্যের মাঝে বেশ কছু রাজ পরিবারের পুজো আজও তাদের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজ পরিবারের পুজো।
মহিষাদল
রাজপরিবারে
২৫০
বছরের
পুরনো
পুজো,
তবে
বর্তমানে
এই
পুজো
তার
জৌলুস
হারিয়েছে।
এখন
শুধুমাত্র
নিয়ম
রক্ষার্থেই
এই
পুজো
করা
হয়।
মহিষাদল
বা
ফুলবাগ
রাজবাড়ি
নামে
এই
রাজবাড়ির
প্রতিষ্ঠাতা
জনার্দন
উপাধ্যায়।
শোনা
যায়,
পঞ্চম
পুরুষ
আনন্দ
লাল
উপাধ্যায়ের
কোনও
পুত্র
সন্তান
না
থাকার
কারণে
রাণি
জানকী
দেবী
রাজপর্বের
সমস্ত
দায়িত্ব
নেন।
১৭৭৪
সালে
তিনি
কুলদেবতা
মদন
গোপালের
সঙ্গে
আরও
বেশ
কিছু
দেব–দেবীর
মন্দর
প্রতিষ্ঠা
করেন।
এর
কিছুদিন
পর
থেকেই
তিনি
দুর্গাপুজো
শুরু
করেন।
২৫০ বছরের এই পুরনো পুজোর নিয়ম হল প্রতিপদ থেকে ঘট প্রতিষ্ঠাপনের মাধ্যমে পুজো শুরু হয়ে যায়। তবে এ বছর মহালয়ার একমাস পর থেকে পুজো শুরু, তাই নিয়ম মেনে শনিবার প্রতিপদ থেকেই এই রাজবাড়ির পুজো শুরু হয়। পুজো আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত পুজোর প্রস্তুতি সেভাবে চোখে পড়েনি। ঢিমেতালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রাজবাড়িতে স্থানীয় মানুষের আনাগোনাও চোখে পড়ছে না।
রাজ পরিবারের প্রভাব প্রতিপত্তি কমে যাওয়ার কারণে প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই পুজোর আড়ম্বর অনেক বছর আগেই কমেছে। যে রাজ পরিবারের দুর্গা পুজোয় ষষ্ঠীতে ৬ মন, সপ্তমীতে সাত মন কিংবা অষ্টমী–নবমীতে আট ও নয় মন চালের ভোগ মায়ের চরণে নিবেদন করা হতো ৷ সেই রাজবাড়িরই দুর্গা আরাধনায় কয়েক দশক ধরে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে ৬,৭,৮ এবং ৯ কিলো চালের নিবেদন করা হয়। প্রভাব প্রতিপত্তি এবং আয় উপায় কমে যাওয়ার কারণে পুজোর বাজেটে বছর বছর কাঁটছাঁট চলছেই। তার ওপর এবার করোনার কঠিন সময় সামনে আসায় নিজেদের প্রাচীন পুজোর আয়োজনে আড়ম্বরতা পুরোপুরি কমিয়ে দিয়েছেন রাজবাড়ির বর্তমান বংশধররা। অথচ এই রাজবাড়িরই দুর্গাপূজার আয়োজন ঘিরে এক সময় উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং তৎপরতা চোখে পড়ার মতোই ছিল। দিন–সময় পেরোলেই আজও জৌলুস বজার রেখেছে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রতিবছর পুজোয় অঞ্জলী দেওয়ার ভিড়ও হত। কিন্তু এ বছর করোনা থাবা বসিয়েছে তাতে। হবে না কোনও জমায়েত। নাটমন্দিরে একা রাজপরিবারের পুজোকে রক্ষা করে যাবে দেবী দুর্গা।
উত্তরপ্রদেশে ভিনগ্রহী আতঙ্ক ? তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠল পুলিশের