শুভেন্দুর 'শান্তিকুঞ্জে'ই চায়ে পে চর্চা! অভিষেককে চা-পানের আমন্ত্রণ দিব্যেন্দু অধিকারীর
শুভেন্দুর 'শান্তিকুঞ্জে'ই চায়ে পে চর্চা! অভিষেককে চা-পানের আমন্ত্রণ দিব্যেন্দু অধিকারীর
সংঘাতের মধ্যেই সৌজন্যের নজির তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাইকে চমকেই কার্যত বিধানসভাতে নিজের ঘরে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে নিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। শাসক-বিরোধী দুজনেই বিষয়টিকে সৌজন্যের মধ্যেই আটকে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু এই বিতর্কের মধ্যেই এবার 'শান্তিকুঞ্জে' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ে চর্চার আমন্ত্রণ খাতায়-কলমে থাকা তৃণমূল সাংসদের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর নয়া রাজনৈতিক বিতর্ক!
হঠাত কেন আমন্ত্রণ?
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে শুভেন্দু গড়ে সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে বিরোধী দলনেতার বাড়ি 'শান্তিকুঞ্জ' থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে এই সভা হবে। আর সেখানে এলে শান্তিকুঞ্জে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চা খেয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন দিবেন্দ্যু অধিকারী। এমনকি উনি এলে খুশি হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সৌজন্যতা সবসময় ভালো বলেও দাবি তৃণমূল নেতার। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।
কাছাকাছি আসছে 'শান্তিকুঞ্জ' এবং 'শান্তিনিকেতন'!
সৌজন্যের রাজনীতির মধ্যে দিয়েই কি ফের কাছাকাছি আসছে 'শান্তিকুঞ্জ' এবং 'শান্তিনিকেতন'! তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বলে রাখা প্রয়োজন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'শান্তিকুঞ্জ' এবং 'শান্তিনিকেতনে'র মধ্যে সংঘাত দেখেছে বাংলার মানুষ। একাধিকবার শুভেন্দুর সঙ্গে অভিষেক বৈঠক করলেও কাজে আসেনি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকি নন্দীগ্রামে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে হারান তিনি। এই অবস্থায় অভিষেককে খোদ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ ঘিরেই শুরু হয়েছে যাবতীয় জল্পনা।
কে কি বলছে?
যদিও এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সৌজন্যতা অবশ্যই ভালো। কিন্ত্য ব্যক্তিগত আক্রমণ তো ঠিক নয়। কিন্ত্য যারা বেগম বলেছেন তাঁরা মেনে চলুক। তবে যারা যাকে আমন্ত্রণ করেছেন এটা তাঁদের ব্যাপার। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের মতো সৌজন্য দেখিয়েছেন এত আঘাতের ব্যাপার। এমনকি অভিভাবকের মতো ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি। অন্যদিকে বামনেতা শমিক লাহিড়ীর দাবি, তৃণমূল -বিজেপি তো সমস্ত সৌজন্যতা তুলে দিয়েছে। এদের নীতির কোনও ঠিক নেই বলেও আক্রমণ তাঁর। এমনকি দুর্নীতি- জাতপাতের নামে রাজনীতি করে বলেও অভিযোগ বাম নেতার। ফলে ওদের মধ্যে যাতায়াত থাকবে বলেও মত তাঁর।
কি বলছেন রাহুল সিনহা
অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, সৌজন্যে উভয় পক্ষের তরফে এলেই ভালো। কিন্ত্য আমরা কোনও তৃণমূলের তরফে সৌজন্য দেখিনি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিপদে পড়েন তখন মোদীজি থেকে যার তার পায়ে পড়ে যান। আর যেই বিপদ উতরে যান আবার স্মুরতিতে ফিরে আসেন বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার। তবে লড়াই লড়াইয়ে জায়গাতে থাকা উচিৎ। যদিও তৃণমূল কোথাও সৌজন্য দেখাতে পারিনি বলে তোপ রাহুল সিনহার।