মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ! TMC জেলা পরিষদ সদস্যদের 'খাওয়া' নিয়ে রিপোর্ট চাইলেন মমতা
জেলায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। উপলক্ষ্য প্রশাসনিক সভা। তবে তার আগে জেলায় ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল (trinamool congress) নেতাদের সম্পর্কে তাঁর হাতে রিপোর্ট রয়েছে। কিন্তু ঠিক কারা জেলাপরিষদে (jila parishad) দুর্নীতিতে (corruption) জড়িয়ে, তা নিয়ে তরজা হল মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই। ঝাড়গ্রামের(jhargram) প্রশাসনিক বৈঠকের এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ধমক দেন দলের নেতাদের। সাতদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন।

একএক কাজে সাত-আটবার টেন্ডার
ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মাননি মুর্মু অভিযোগ করেন, জেলা পরিষদের কাজের সমস্যা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ত দফতরের যে টেন্ডার হয়, তা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাত এবং জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত নিজেদের পছন্দের লোককে বিলি করেন। আর নিজেদের মনমতো লোক তা না পেলে, এক এক কাজে সাত-আটবার টেন্ডার ডাকা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অ্যারেস্ট করানোর হুঁশিয়ারি
যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এরকম বলে জেলাশাসক তদন্ত করবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন দেন, ২ বারের বেশি কোনও টেন্ডার অনুমোদন না করতে। তিনি শুভ্রা মাহাত আর উজ্জ্বল দত্তের নাম উল্লেখ করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ পেয়েছেন। শেষবারের মতো সতর্ক করে তিনি বলেন, এরপরে ধমকালে তিনি অ্যারেস্ট করিয়ে দেবেন। তারপরেই তিনি প্রশ্ন করেন, কত খাবে গো? কত চাও কত? ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা খাবেন? তিনি বলে দেন, তৃণমূল এত দিতে পারবে না, দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

অভিযোগ অস্বীকার
তবে এদিন যে দুই কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁরা দাবি করেছএন সব কাজ হয় টেন্ডারের মাধ্যমে। সেখানে তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকে না বলেও দাবি করেছেন ওই দুই কর্মাধ্যক্ষ। সেই সময় ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা বলেন, সবটাই হয় ই টেন্ডারের মাধ্যমে। কোনও টেন্ডার বাতিল করা হয় টেকনিক্যাল কোনও ভুল থাকলে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগকারী কর্মাধ্যক্ষকে ভর্থসনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, ছোট বিষয় বড় করে দেখানো ঠিক নয়।

আমি-আমি নয় আমরা
জেলা পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা, আমি আমি নয় আমরা। দলের নেতাদের কাছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমিত্ব ছাড়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, নির্দেশ অমান্য করলে দল সেই নেতাকে ছেঁটে ফেলতেও দ্বিধা করবে না। তিনি আরও বলেছেন নিজেকে কেউ কেউকেটা মনে করলে তাকে কেটে দেওয়া হবে।
পার্থ-র হাজিরা সিবিআই দফতরে! এসএসি মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে মেল প্রধান বিচারপতিকে