কাশীপুরের ছায়া শুভেন্দু-গড়েও! বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে বাড়ছে রহস্য
কাশীপুরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করে গিয়েছেন অমিত শাহ। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। আর এর মধ্যেই
কাশীপুরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করে গিয়েছেন অমিত শাহ। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। আর এর মধ্যেই ফের একবার যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
সবথেকে বড় খবর মৃত যুবক এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবেই পরিচিত। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খেজুরি বিধানসভার বাঁশগোড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বিজেপি কর্মী এবং একই ভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ইতিমধ্যে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে সে দেহ রাখা আছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষা তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
বিশেষ করে কাশীপুরে যেভাবে রহস্যমৃত্যু হয়েছে ঠিক সেভাবেই দেহ উদ্ধার হওয়াতে খুনের দাবি জোড়াল হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, পুলিশের তদন্তেই স্পষ্ট হবে আসল কারণ। রাজনীতি করে লাভ নেই। তবে এই যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েই যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের বাড়ি খেজুরি থানার বালিচক গ্রামে বাড়ি হলেও কলকাতায় দীর্ঘদিন চাকরি করতেন ওই যুবক। সম্প্রতি কলকাতায় সেই চাকরি ছেড়েই গ্রামে ফিরে যান ওই যুবক। আর এরপর থেকেই পরিবারে বিভিন্ন কারণে অশান্তি চলত বলে জানতে পেরেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আর সেই অশান্তির জেরেই এই ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ইতিমধ্যে পরিবার এবং অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে ওই যুবক কলকাতার যে সংস্থায় কাজ করত সেখানেও পুলিশ আধিকারিকরা আসতে পারেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, মৃত ওই যুবকের বাবাও এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাড়ি থেকে কিছুটা দুরেই একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষজন। আর এরপরেই পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরেই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত জেলা পুলিশ প্রশাসনের।