বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, শুভেন্দু-দিলীপদের গড়ে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি ‘পর্যবেক্ষকে’র
বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, শুভেন্দু-দিলীপদের গড়ে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি ‘পর্যবেক্ষকে’র
শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিজেপিতে শুরু হয়েছে কোন্দল। বিজেপি ছেড়ে একদল সম্প্রতি যোগ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। বিজেপিতে ভাঙন ধরছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। এবার বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল দেখা দিল ঘাটালে। প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে বিজেপি ছাড়ার হুমকি দিলেন জেলা বিজেপির অন্যতম কার্যকর্তা তথা পর্যবেক্ষক শান্তিনাথ কৌরি।
বিজেপিতে তাঁর মতো নেতার প্রয়োজন ফুরিয়েছে
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চন্দ্রকোনার পর্যবেক্ষক শান্তিনাথ কৌরি অভিযোগ করেন, দলের রাশ চলে গিয়েছে অপরিপক্ক নেতাদের হাতে। বিজেপি এখন কাটমানি খাওয়া নেতাদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে। অতএব এই বিজেপিতে তাঁর মতো নেতার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই তিনি দল ছাড়তে চান বলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে অস্বস্তি
প্রবীণ নেতা শান্তিনাথ কৌরি অভিযোগ করেন, দল অপরিপক্ক দলবদলু ও কাটমানি খাওয়া নেতাদের হাতে চলে যাওয়ার কারণেই বারবার ডুবছে বিজেপির তরী। বিজেপিকে হার মানতে হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনে। বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর এই পর্যালোচনা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিকে ফেলে দিয়েছে অস্বস্তির মধ্যে।
শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ার হুঙ্কার
২৪ ঘণ্টা আগেই মেদিনীপুরের সদর বিজেপি কার্যালয়ে কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে জেলা বিজেপির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবাদে। এমনকী তারা হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছিলেন। তারপর মেদিনীপুর সদরের পাশেই ঘাটাল সংগঠনিক জেলায় বিজেপিক গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট হয়ে পড়ল। জেলার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ার হুঙ্কার দিলেন বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক শান্তিনাথ কৌরি।
দলের ভিতরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে, মিটিয়ে নিন
তিনি জেলা সভাপতির নাম করে হুঙ্কার ছাড়েন। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন দলত্যাগের তাঁর এই হুঙ্কার ও হুঁশিয়ারির জেরে প্রবল অস্বস্তি পড়ে যায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা শান্তিনাথ কৌরির এই বিদ্রোহের পর জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, দলের ভিতরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে, তা বলে মিটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। কিন্তু তা বাইরে প্রকাশ করলে বিপক্ষ দল শক্তি পেয়ে যায়। কারও যদি ক্ষোভ থাকে, তিনি ভিতরে বসে মিটিয়ে নিন, দয়া করে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন না। তা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল বলেই গণ্য হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন জেলা সভাপতি। এই ঘরোয়া কোন্দল ভোটবাক্সে প্রভবা ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি
নন্দীগ্রামের পর মেদিনীপুর এবং ঘাটালেও অসন্তোষ বিজেপিতে
কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু-গড় নন্দীগ্রামে অসন্তোষ জারি রয়েছে বিজেপিতে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছাড়তে উদ্যত হন নন্দীগ্রামের কনভেনর-সহ অনেকেই। মোট ৩৬ জন নেতা ও সক্রিয় কর্মী দল ছাড়েন এবং তৃণমূলে যোগ দেন। তবে বি্দ্রোহী কনভেনর বটকৃষ্ণ দাস দল ছেড়েও তৃণমূলে যোগ দেননি। তাঁকে যোগদান করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পূ্ব মেদিনীপুরের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও পর পর দুটি ক্ষেত্রে বিজেপিতে কোন্দল প্রকট হল।
অনুব্রতহীন বীরভূমে কার হাতে তৃণমূলের রাশ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে 'কৌশলী’ সিদ্ধান্ত