বিজেপিতে সাংসদ-বিধায়কের অনুগামীদের দ্বন্দ্ব চরমে, যত কাণ্ড খড়গপুরে ভাঙন জল্পনা
বিজেপিতে সাংসদ-বিধায়কের অনুগামীদের দ্বন্দ্ব চরমে, যত কাণ্ড খড়গপুরে ভাঙন জল্পনা
সাংসদ বনাম বিধায়কের অনুগামীদের দ্বন্দ্ব দু-ভাগ করে দিয়েছে বিজেপিকে। একদিনে সাংসদ দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। অন্যদিকে রয়েছে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা। ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল দুই গোষ্ঠীর কোন্দল। য়ত কাণ্ড সেই খড়গপুরে। সাংসদ ও বিধায়কের সংঘাতে বিজেপিতে ভাঙন জল্পনা তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
সাংসদের ছবি আচে, বিধায়কের নেই! বিতর্ক বিজেপিতে
সম্প্রতি একটি হোর্ডিং নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। খড়গপুরে বিজেপির তরফে একটি হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি থাকলেও এলাকার বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি নেই।
বিজেপিতে সংঘাত তৈরি হল হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে
সাংসদের ছবি আছে, অথচ বিধায়কের ছবি নেই- তা নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছে বিজেপির মদ্যে। দু-পক্ষের চরম সংঘাতে আড়াআড়ি বিভাজিত বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই সাংসদ বনাম বিধায়কের দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উভয়ের সংঘাত থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। দিলীপ ঘোষের অনুগামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়েছিল। তারপর ফের সংঘাত তৈরি হল হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে।
পোস্টার-হোর্ডিংয়ে ‘মিসিং’ বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা পুরভোট সামনে। তারপর অন্যান্য পুরসভারও ভোট হবে। তার আগে খড়গপুর সাংসদ কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা বিজেপির পোস্টার আর হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়ার জন্য দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানাতে ওই হোর্ডিং ও পোস্টার পড়ে। সেই পোস্টার-হোর্ডিংয়ে 'মিসিং' বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
পোস্টারই প্রমাণ বিজেপির অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের, জল্পনা তুঙ্গে
ওই হোর্ডিংয়ে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষের ছবি রয়েছে। তবে ওই হোর্ডিংয়ে নেই হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। এর ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তবে কি বিজেপিতে এখন ব্রাত্যের তালিকায় খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। রেলশহরে বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব মাত্র ছ-মাসের মধ্যেই চরম আকার নিয়েছে। কেননা পোস্টারই প্রমাণ বিজেপির অন্তর্ন্দ্বন্দ্বের।
হোর্ডিং নিয়ে সম্মুখ সমরে দিলীপ বনাম হিরণ
দিলীপ ঘোষ যেমন বলেছেন, কারা হোর্ডিং দিয়েছে জানি না। যাঁরা হোর্ডিং তৈরি করিয়েছেন, তারা পছন্দসই নেতার ছবি দিয়েছেন। কেন হিরণের ছবি নেই তা তো আমি বলতে পারব না। আর হিরণ বলেছেন, পোস্টারে কার ছবি আছে, কার নেই, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। আমার বাড়িতে সকলের ছবিই রয়েছে।
বিজেপি শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করতে ব্যস্ত, কোনও উন্নতি নয়
উভয় নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে কোনও বিতর্কিত কথা না বললেও বিজেপির অন্দরের কোন্দলকে হাতিয়ার করছে শাসকদল। তৃণমূল বলছে, এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ নির্বাচনের সময় গালভরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই পূরণ করতে পারেনি বিজেপি। সে কারণে বিজেপির একটা অংশ তিতিবিরক্ত। বিজেপি শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করতে ব্যস্ত, কোনও উন্নতি হচ্ছে না খড়গপুরে।