শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে ভাঙন বিজেপিতে! অভিষেকের মঞ্চে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁথিতে শনিবার সভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নন্দীগ্রামে ভাঙন ধরল বিজেপিতে!
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁথিতে শনিবার সভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নন্দীগ্রামে ভাঙন ধরল বিজেপিতে! অভিষেকের মঞ্চে এসে বিজেপির কিষাণ সেলের সভাপতি যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কাঁথিতে অভিষেকের সভা শুরুর আগেই বিজেপিকে ঝটকা দিল তৃণমূল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শুরুর আগেই বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। তৃণমূলে যোগ দিলেন নন্দীগ্রাম বিজেপির অন্যতম নেতা কিষাণ সেলের সভাপতি সবুজ প্রধান। কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামের একাধিক বিজেপি নেতা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে যোগদান করেছিলেন বিজেপির একঝাঁক নেতা।
শনিবার অভিষেকের সভার আগে তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে পতাকা হাতে তুলে নেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, জেলা সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র এবং মন্ত্রী অখিল গিরির উপস্থিতিতে। অর্থাৎ নন্দীগ্রাম একাধিক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। একে একে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরছেন। বিজেপি ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে বাংলায়।
কুণাল ঘোষ এদিন যোগদানের পর বলেন, অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন আমাদের সঙ্গে। দলের পুরনো কর্মীরা যেমন আছেন। তেমন অনেক নতুনরাও আছেন, অনেক নেতা বিজেপি থেকেও আসছেন। এদিন কাঁথিতে অভিষেকের সভা শুরুর আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিল তৃণমূল। যে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, সেই নন্দীগ্রামেই বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে চাকা ঘুরনোর খেলা শুরু করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, সোমনাথ মহাপাত্র, অখিল গিরি প্রমুখ।
নন্দীগ্রামের দলত্যাগী বিজেপি কনভেনার বটকৃষ্ণ দাস তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে চা চক্র যোগ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ নিয়ে জল্পনা চলছিল। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে বাধায় তাঁর যোগদান ভণ্ডুল হয়ে গেলেও নন্দীগ্রামের সাউথখালিতে একটি রাজনৈতিক কর্মিসভার কুণাল ঘোষের হাত ধরে জয়দেব দাস-সহ বাকি নেতারা তৃণমূলে যোগদান করলেন।
ছয়টি ট্রাকসহ অন্যান্য দলত্যাগীরা সভাস্থলে পৌঁছলেও, বটকৃষ্ণ দাস ওই সভাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে তিনি যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলে। কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন বটকৃষ্ণ দাসের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। চাপ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে। বটকৃষ্ণ দাসের তৃণমূলে যোগদান আটকাতেই পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। তবে বটকৃষ্ণ আসন্ন পঞ্চায়েতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেন তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গী অপর এক দলত্যাগী জয়দেব দাসও। ৩৩ জন দলত্যাগী বিজেপি নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাতে নন্দীগ্রামের তৃণমূলের রাজনৈতিক শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।