Digha: পূর্ণিমার ভরা কোটালে একেবারে তাণ্ডব দেখাচ্ছে দিঘার সমুদ্র! প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা সৈকত শহর
একদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টিপাত। জোড়ায় ফলাতে দুর্যোগ বঙ্গে। ভরা কোটালের কারনে ইতিমধ্যে বেড়ে গিয়েছে গঙ্গাতে জলস্তর। যার ফলে নিচু এলাকাগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
একদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টিপাত। জোড়ায় ফলাতে দুর্যোগ বঙ্গে। ভরা কোটালের কারনে ইতিমধ্যে বেড়ে গিয়েছে গঙ্গাতে জলস্তর। যার ফলে নিচু এলাকাগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
লাগাতার বৃষ্টির কারনে কলকাতা সহ শহরতলির একাধিক জায়গাতে জল জমেছে। যার ফলে চরমে উঠেছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘন্টাতে আরও বৃষ্টিপাত চলবে।
বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে ভয়ঙ্কর ছবি উঠে আসছে বাংলার সৈকত শহর জুড়ে। উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘা, মন্দারমণি। সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্যে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
উত্তাল দিঘার সমুদ্র!
একদিকে ভরা কোটাল অন্যদিকে লাগাতার ভারী বর্ষণ। যার ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। একেবারে গার্ড ওয়াল টপকে জল আসছে। ইতিমধ্যে দিঘাতেও জল জমেছে বিভিন্ন অংশে। আর এর মধ্যে বৃষ্টির দাপট চেহারা পাল্টে দিয়েছে দিঘার। একই অবস্থা মন্দারমণি, শঙ্করপুরেও। সেখানেও উত্তাল সমুদ্র। কয়েক ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে। মন্দারমনিতে ঢেউ হোটেলের ভিতরে চলে আসছে। কার্যত ফুঁসতে থাকা সমুদ্র দেখলে ভয় লেগে যাবে। যদিও সতর্ক প্রশাসন।
কড়া নজর রাখা হচ্ছে
প্রশাসনের তরফে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। দিঘাতে কাউকে গার্ডওয়ালের আশেপাশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে সমুদ্র স্নানে নামার সময় পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিনে দিঘাতে পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আজ সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন হলেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। ফলে সতর্ক প্রশাসনও।
অমস্যাতেও একই ভাবে উত্তাল হয়ে ওঠে দিঘা
গত কয়েকদিন আগেও কৌশিকী অমাবস্যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে। সঙ্গে ছিল ভরা কোটাল। ফলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে দিঘা। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারনে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত ছিল বলে জানা যায়। গোটা সৈকত শহর ভেসে যায়। সেই সঙ্গে ছিল নিম্নচাপ। ফলে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। নিরাপদে থাকার কথা বলা হয়েছে।
সমুদ্রের জল গ্রামের মধ্যে ঢুকছে বলে খবর
আম্ফানের কারনে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভেঙে পড়ে বাঁধ। গ্রামের পর গ্রাম সাগরের জলে ভেসে যায়। সারাইয়ের কাজ শুরু হলেও এখনও বহু জায়গাতে বাঁধ ভাঙা অবস্থাতে রয়েছে। সেই সমস্ত জায়গা থেকে সমুদ্রের জল গ্রামের মধ্যে ঢুকতে পরেছে বলে খবর। যদিও ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে প্রশাসনের আধিকারিকরা।