মমতাকে ক্যালেন্ডারে স্থান নেওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন অটলজি! নন্দীগ্রামে তৃণমূলে আরও গুতোগুতি, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
মমতাকে ক্যালেন্ডারে স্থান নেওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন অটলজি! নন্দীগ্রামে তৃণমূলে আরও গুতোগুতি, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
নন্দীগ্রামের ১৭টা অঞ্চলের নাম যেমন জানে না, ঠিক তারা সেখানকার শহিদের নামও জানে না। এদিন নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসে এমনটাই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, শহিদ দিবস পালন করতে পুলিশের তরফেই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বিডেপির জন্য বরাদ্দ ছিল ২-৫। সেই মতো .তাঁরা মিছিল করে কর্মসূচি পালন করেছেন।
আরও গুতাগুতি হবে
নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করতে গিয়ে এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সামনে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুইগোষ্ঠী। যা নিয়ে সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এরকম গুতোগুতি আরও হবে, এতো ভোর বেলা। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে কুণাল ঘোষকে নিশানা করেন। সেখানে উপস্থিত বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কে এসেছিল? উত্তর আসে চোর। সাধারণভাবে শুভেন্দু অধিকারী কুণাল ঘোষকে সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা আসামী বলেই সম্বোধন করে থাকেন। এদিন তাঁকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যের কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ওদের মালিককে তিনি হারিয়েছেন।
ক্যালেন্ডারের পাতায় স্থান নিতেন
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরির পরে আশ্রয় দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি স্থান না দিলে এতদিনে ক্যালেন্ডারের পাতায় স্থান নিতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের গণহত্যার পরে ১৭ মার্চ তৎকালীন বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ভারত সরকারের সুরক্ষা নিয়ে অবরোধ তুলতে তুলতে সেখানে পৌঁছন। তারপরে সেখানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১৫ মার্চ নন্দীগ্রাম হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
চকলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন
শুভেন্দু অধিকারী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় চকলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করেছিলেন। যা দীপক ঘোষের বইয়ে লেখা রয়েছে। সেই অনশন তুলতে এসেছিলেন রাজনাথ সিং। বারে বারে সাহায্য করে গিয়েছেন, অটলজি-সুষমাজিরা, বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামে আসতে পারবেন তো
শুভেন্দু অধিকারী কুণাল ঘোষের নাম না করে বলেছেন, ২০০৬ সালে মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে টুটু বসুর কাগজে উনি যা লিখেছিলেন, তা ছেপে বের করলে নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারবেন তো। তারপরেই তিনি বলেন, তিনি চান সবাই নন্দীগ্রামে আসুন। তিনি নাম না করে কুণাল ঘোষকে ছাঁট-দলের কর্মচারী বলেও ফের একবার কটাক্ষ করেন। নন্দীগ্রামে তিনি শক্তি দেখাতে চান না বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।
১৬৩২ পদে শিক্ষক নিয়োগের বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের