আছড়ে পড়ল ৩২ ফুট উচ্চতার প্রকাণ্ড ঢেউ! এমন জলোচ্ছ্বাস স্মরণকালে দেখেনি দিঘা
আছড়ে পড়ল ৩২ ফুট উচ্চতার প্রকাণ্ড ঢেউ! এমন জলোচ্ছ্বাস স্মরণকালে দেখেনি দিঘা
এমন ঢেউ আগে দেখেনি দিঘা। এক একটা ঢেউ নারকেল গাছের সমান উঁচু। ৩০-৩২ ফুট করে হবে ঢেউয়ের উচ্চতা। ওড়িশার ধামড়ায় আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত দিঘা। ঝড়ের তাণ্ডবের থেকেও বড় বিপদ হয়ে উঠেছে বিশালাকার ঢেউ। সমুদ্রের ধারের গার্ডওয়াল ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ছে রাস্তা।
ধেয়ে আসছে Cyclone Yaas! এই আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির
স্মরণকালে দিঘার এই রূপ দেখেনি এলাকাবাসী
দিঘায় রাস্তা দিয়ে বইছে জল। এতটাই উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে যে, বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে নিমজ্জিত করেছে। দিঘার রাস্তা আর সমুদ্র যেন একাকার হয়ে গিয়েছে মিলেমিশে। স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি, মোটর সাইকেল। জলে ভেসে যাচ্ছে দোকানের সামগ্রী। স্থানীয়রা বলছেন, স্মরণকালে দিঘার এই রূপ দেখিনি আমরা।
দিঘার মতো লন্ডভন্ড অবস্থা মন্দারমণিতেও
দিঘার সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস এতটাই তীব্র ছিল যে, গার্ডোয়ালের পাথর উড়িয়ে রাস্তার উপর ফেলছে। দোকানের চাল উড়ে গিয়েছে। চারিদিক লন্ডভন্ড। ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘার মতো লন্ডভন্ড অবস্থা মন্দারমণিতেও। মন্দারমণিতেও হোটেলের চাল উড়ে গিয়েছে ইয়াসের তাণ্ডবে। তারপর সমুদ্রের জল ঢুকে পড়েছে এলাকায়।
দিঘা সংলগ্ন শঙ্করপুরে ৩২ ফুট উচ্চতার ঢেউ
আর সমুদ্রের এই প্রবল জলোচ্ছ্বাসে রেকর্ড গড়েছে শঙ্করপুর। দিঘা সংলগ্ন শঙ্করপুরে ৩২ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়েছে। একের পর এক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ভেঙেছে ৫১টি নদী বাঁধ। প্রায় ৭০ কিলোমিটার বাঁধ বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানদের নামানো হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
৭০ জনের বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করছে
দিঘাতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের ফলে বানভাসি অবস্থা তৈরি হয়েছে। সমুদ্রের জদতল যেভাবে ঢুকে পড়ছে, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। অবস্থা সামাল দিতে ৭০ জনের একটি বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করছে। নন্দীগ্রামেও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার বাড়ি।