হিন্দুত্বের তাস! হর হর মহাদেব বলে মমতার পুজো দেওয়া মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢাললেন শুভেন্দু
দীর্ঘদিনের দলনেত্রী! আজ যদিও ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষ। কেউ কাউকে একটু জমি ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থাতেই নন্দীগ্রামে মারাত্মক আঘাত লাগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিনের দলনেত্রী! আজ যদিও ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষ। কেউ কাউকে একটু জমি ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থাতেই নন্দীগ্রামে মারাত্মক আঘাত লাগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চার পাঁচজন যুবক চেপে ধরে বলে অভিযোগ নেত্রীর।
যদিও এমন কিছু ঘটেনি। শুধুমাত্র সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা! এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঘটনায় প্রায় ২৪ ঘন্টা কাটতে চলল। কিন্তু এখনও এই বিষয়ে স্পিকটি নট শুভেন্দু অধিকারী।
সকাল থেকে একের পর এক মন্দিরে ঘুরলেন শুভেন্দু!
এ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো অবস্থা! পায়ে চোট লেগে রাতেই নন্দীগ্রাম ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আগের কর্মসূচি অনুযায়ী নন্দীগ্রামেই শিবের পুজো করার কথা ছিল মমতার। কিন্তু গ্রিন করিডর করে নেত্রীকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। আর সেখানে ন্দীগ্রামে তিনটি মন্দিরে পুজো শুভেন্দু অধিকারীর। সোনাচূড়ার শিব মন্দির, পারুলবাড়ি ও রেয়াপাড়ার মন্দিরে পুজো নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের। গতকাল বুধবার রেয়াপাড়ার এই মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেখানে যান শুভেন্দু!
হিন্দুত্বের তাস শুভেন্দুর
বুধবার সকালে নেত্রীর চন্ডীপাঠ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এমনকি মোবাইলেও কর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্ডীপাঠ তাঁর অনুগামীদের শোনান তিনি। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ''ভেজাল হিন্দু। পদবিটা ব্যানার্জি হলে নিজেকে হিন্দু বলতে হচ্ছে কেন? এখন উনি আর ইনশাল্লাহ বলছেন না। বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন শুধু হিন্দু ধর্ম বোঝেন। আমার ধর্ম তো মানবতার ধর্ম।'' আজ শুভেন্দুর পরনে ছিল ধুতি, পাঞ্জাবি। পুজো দেওয়ার পরই বলে ওঠেন, 'হর হর মহাদেব।' শিবের মাথায় জলও ঢালেন তিনি।এরপরেই আজ একের পর এক মন্দিরে পুজো দিয়ে কি হিন্দুত্বের তাস খেললেন শুভেন্দু? উঠছে প্রশ্ন।
মমতা প্রসঙ্গে নীরব শুভেন্দু!
মমতা যখন হঠাতই নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন, তারপর থেকেই শুভেন্দুর গলায় একটাই শব্দ, 'মাননীয়া, আপনাকে হারাবই, হারাবই, হারাবই...'। কিন্তু বুধবার মমতার নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সন্ধেতে বিরুলিয়া বাজারে যে ঘটনা ঘটল, তারপর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার শুভেন্দু পালটা চাপের রাজনীতি করবেন। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হল না। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামের একাধিক মন্দিরে ঘুরলেও মমতার চোট পাওয়া ও চক্রান্ত তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে একটি শব্দও খরচ করলেন না শুভেন্দু। আর শুভেন্দুর এই নীরাবতা রহস্যই এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিঁপড়ে পর্যন্ত গোলেনি!
শুভেন্দু না মুখ খুললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাক্কা লাগার ঘটনায় মুখ খুলেছেন শিশির অধিকারী। নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, 'মেদিনীপুরের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না। এত স্বচ্ছ রাজনীতি হয় এই জেলায় যে বিপক্ষ কখনও বলতে পারে না যে ভোট লুট হয়েছে। যা ঘটেছে তা মেদিনীপুরের মানুষ আশা করেনি। নন্দীগ্রামের লোক প্রতিবাদ করতে জানে না। চালকের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। বিম থাকে যাতে বড় গাড়ি না থাকে। সেই বিমে লেগেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৪০ জন পুলিশকর্মী ছল।'