ভোট মিটতেই জঙ্গলমহলের একাধিক গ্রামে মাওবাদী পোস্টার, তীব্র আতঙ্ক এলাকায়
বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেও আট দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় রাত পোহালেই ভোট গণনা। আগামী পাঁচ বছরের জন্যে বাংলার মসনদে কে বসবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। একদিকে যখন চলছে সেই প্রস্তুতি অন্যদিকে তখন ফের আতঙ্ক জঙ্গলমহলে।
বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেও আট দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় রাত পোহালেই ভোট গণনা। আগামী পাঁচ বছরের জন্যে বাংলার মসনদে কে বসবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
একদিকে যখন চলছে সেই প্রস্তুতি অন্যদিকে তখন ফের আতঙ্ক জঙ্গলমহলে। ভোট গণনার ঠিক আগের দিন একের পর এক গ্রামে মাওবাদী পোস্টার। আর তা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পোস্টারগুলি সমস্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার লালডাঙ্গার চাঁদাবিলা, মাধবপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি মাওবাদী পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
একের পর এক এলাকায় মাওবাদী পোস্টার দেওয়া হয়। আর তা দেখার পরেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়।
ঘটনার পরেই পোস্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, এবারের পোস্টারগুলি আর হাতে লেখা নয়। বদলে ছাপার অক্ষরে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে মাওবাদীদের পক্ষ থেকে।
ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা চাঁদাবিলা, মাধবপুর গ্রাম।
শনিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ গ্রামবাসীদের চোখে পড়ে পোস্টারগুলি। একাধিক দোকান বাড়ির গায়ে সাঁটানো ছিল এগুলি। পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
একই সঙ্গে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাতে। ভোট মিটতেই কি ফের বাংলায় মাওবাদী আতঙ্ক! এরপরেই বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে।
সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন জঙ্গলমহলে একটি ভোটের গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। বলা হয়, জঙ্গল থেকে মুখ ঢাকা কেউ বা কারা এসে এই গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন ড্রাইভার।
যদিও তদন্ত করে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই, এই ঘটনা সঙ্গে। তদন্ত করে এমনটাই জানানো হয় পুলিশের তরফে।
অন্যদিকে, একাধিকবার জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার পড়েছে। কখনও জঙ্গলমহলের উন্নয়নের দাবি করা হচ্ছে তো কখনও আবার তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে পোস্টারে।
এদিনের পোস্টারও ব্যতিক্রম নয়। তবে ভোট মিটতেই একের পর এক গ্রামে এভাবে মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এলাকার বেশ কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের ইচ্ছাকৃতভাবেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।