চেঞ্জ করা হয়েছে প্লাস্টার, ক্ষতের জায়গায় এখনও রক্ত জমাট বেঁধে আছে, জানালেন মমতা
এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে ফের প্লাস্টার করা হল মমতার পায়ে। আগের প্লাস্টার খোলার পর দেখা যায় যে এখনও রক্ত জমাট বেঁধে আছে সেখানে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে ডাক্তারদের।
পায়ে চোট নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। হুইল চেয়ারে বসেই প্রচারে ঝড় তুলছেন। একযোগে বিজেপি সহ বাম-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ শানাচ্ছেন। প্রত্যেক সভাতেই তাঁর পায়ে চোটের কথা বলছেন।। যন্ত্রণা সহ্য করেই প্রচার করছেন তাও মানুষের সামনে তুলে ধরছেন তৃণমূল সুপ্রিমো!
আজ বৃহস্পতিবার গড়বেতা বিধানসভা এলাকার গোয়ালতোড়ের আমলাশুলিতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই তাঁর পায়ের কি অবস্থা তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পায়ে রক্ত জমে আছে
মমতা বলেন, "কয়েকদিন আগে আমি আঘাত পেয়েছি। ড্রেসিংয়ের পরও পায়ে রক্ত জমে আছে। এর আগেও আমাকে আঘাত করা হয়েছিল। তবে পা'টা ঠিক ছিল। কিন্তু সেই পায়ে চোট করে দেওয়ার ফলে আমার হৃদয় চোট করে দেওয়া হয়েছে।" উল্লেখ্য, জেলা সফরে একের পর এক সভা করে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিনের জন্যে কলকাতায় ফেরেন। দলের ইস্তেহার প্রকাশ করেন। আর তা প্রকাশ করেই চিকিৎসকরা তাঁর পায়ের প্লাস্টার কাটে। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল সেখানে এখনও রক্ত জমে আছে। এখনই তাঁকে হাঁটার পরামর্শ চিকিৎসকরা দেননি। আপাতত হুইলচেয়ারে করেই তাঁকে ভোট-প্রচার সারতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন করে তাঁর প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে।
চোট নিয়ে উদ্বেগে ডাক্তাররা
এখনও বেশ চোট গভীর। বেশ রক্ত জমাট হয়ে রয়েছে। কয়েকদিন তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু কোনও নিয়মই মানছেন না নেত্রী। আর সেটাই ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের। জমাট বাধা রক্তে সমস্যা তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতে। আর সেই কারনে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাক্তাররা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঘরের দুয়ারে সাপ লুকিয়ে থাকে
রাজনৈতিকসভা থেকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওরা ভেবেছিলেন আমি বোধহয় বের হতে পারব না। আর সেই সুযোগে ওরা আমার বাংলা দখল করবে। কিন্তু আমিন থাকতে তা হত দেব না। নেত্রী বলেন, "ঘরের দুয়ারে সাপ লুকিয়ে থাকে, বাঘ থাকে। সাপকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না, বাঘকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।"
নির্বাচনের পর দুয়ারে রেশন
বুধবারই ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের জন্যে একগুচ্ছ সুবিধা। থাকছে মধ্যবিত্তদের নুন্যতম টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও। আর সেই প্রসঙ্গ টানেন নির্বাচনি প্রচারে। তিনি বলেন, "ইস্তেহারে বলা হয়েছে নির্বাচনের পর দুয়ারে রেশন। ১৮ বছর বয়সী বিধবাদের পেনশন। ক্ষমতায় এলে সব তফশিলি পরিবারকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ১০০০০ টাকা অথবা ট্যাব কিনে দেওয়া হবে। নবম শ্রেণিতে উঠলেই বিনা পয়সায় সাইকেল। সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড' সংখ্যালুঘদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। কার্ডে থাকবে ১০ লক্ষ টাকা, সুদ হবে ৪ শতাংশ। কার্ডের টাকা থেকে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুলের ফিজ জমা দেওয়া যাবে।" অন্যদিকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা।