তৃণমূলে বাড়ছে বিদ্রোহীর সংখ্যা! একসময়ে মমতার কাছের বিধায়কের দল ছাড়ার ইঙ্গিত
তৃণমূলে বাড়ছে বিদ্রোহীর সংখ্যা! একসময়ে মমতার কাছের বিধায়কের দল ছাড়ার ইঙ্গিত
শাসক তৃণমূল কংগ্রেসে( trinamool congress) ক্রমেই বাড়ছে বিদ্রোহীর সংখ্যা। দলের নয়, বিদ্রোহী সংখ্যা বাড়ছে বিধায়ক শিবিরে। যা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ ঘাসফুল শিবিরে। যা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। ১৫ দিনের মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই বিধায়ক।
বিদ্রোহী মিহির গোস্বামী
আপাতত দলের নাগালের বাইরে কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ দলের নেতারা বিজয়া সারতে তাঁর বাড়িতে গিয়েও খোঁজ পাননি। দলে জন্মলগ্ন থেকে জড়িত বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী অক্টোবরের শুরুর দিকে সরব হয়েছিলেন দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে। বিধায়কদের মতামত ছাড়াই তৃণমূলের জেলা কমিটি তৈরির অভিযোগ করেছিলেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এবিষয়ে জানানো হলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মিহির গোস্বামী। একরকম ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের পার্টি অফিস থেকে দলের পতাকা নামিয়ে দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। এই বিধায়কের মূলত অভিযোগ পিকের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে। মিহির গোস্বামী বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।
পরে বিদ্রোহী শীলভদ্র দত্ত
পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তাঁরও নিশানায় প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক। তিনি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে বাজারি কোম্পানি বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। দলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেছিলেন, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে। আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজনীতিতে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠার কথা জানিয়ে শীলভদ্র দত্ত বলেছিলেন তিনি আর দলের প্রতীকে ২০২১-এর নির্বাচনে লড়াই করবেন না।
নতুন কমিটিতে নেই নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়কের নাম
তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস, ব্লক ও যুব সংগঠনের নতুন কমিটির ঘোষণা করেন। সেখানে দেখা যায়, তালিকায় নাম নেই নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দের। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে, নন্দকুমারের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরাকে। এর জেরে অপমানিত বিধায়ক নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে। প্রসঙ্গত সুকুমার দের হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার বেরা।
ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত ঘোষণার হুঁশিয়ারি
সূত্রের খবর অনুযায়ী তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী এই নেতা। ফলে জেলা সভাপতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে ব্লক সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে, তাতে তিনি ব্যথিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী থাকার পরেও যেভাবে তাঁকে সরানো হয়েছে, তাতে তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই নেতা। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
'এটাই আমার শেষ নির্বাচন' বিহারে তৃতীয় দফার ভোট প্রচারে বোমা ফাটালেন নীতীশ