বিশ্বাসঘাতক-মুক্ত মেদিনীপুর গড়ার ডাক অভিষেকের, বাড়ির দরজায় গিয়ে শুভেন্দুকে নিশানা
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাঁকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি কাঁথির সভা থেকে বিশ্বাসঘাতক মুক্ত মেদিনীপুর গড়ার ডাক দিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাঁকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি কাঁথির সভা থেকে বিশ্বাসঘাতক মুক্ত মেদিনীপুর গড়ার ডাক দিলেন। অভিষেকের কথায়, যাঁর পরিবার ইংরেজ তাড়াবে, তিনি কখনও অমিত শাহের পায়ে পড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন না।
অভিষেক তাই বলেন, তাঁকে বিশ্বাস করে পূর্ব মেদিনীপুরের এই মাটির দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই তিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অমিত শাহের পা চেটে। তাই সবাই কাল থেকে আন্দোলনে নামুন। রাস্তায় নামুন। মেদিনীপুরকে বিশ্বাসঘাতক-মুক্ত করতে হবে, বেইমান-মুক্ত করতে হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। গার্লস হোস্টেলে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। ২০১৫ সালে এই কলেজের গার্লস কলেজ হচ্ছিল। এক কোটি ১৫ লক্ষ টাকার হোস্টেল হচ্ছিল। কলেজের জিবি চেয়ারম্যান কে ছিল, তাঁর নাম নিচ্ছি না। কোনও নিয়ম ছাড়া টেন্ডার ছাড়া ২ কোটি ২০ লক্ষ পেমেন্ট করা হয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছেন। আর বিজেপিতে গিয়ে তিনি খোয়াব দেখছেন। আমি বাড়ি থেকে বেরোলেই আতঙ্ক। সারা দিন শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছেন তিনি। আবার এত ভয়, আমরা নাম নেয় না। ভাইপো বলে। মামলা করার ভয়ে আমার নাম নেয় না।
এদিন সভা শুরুর আগে কাঁথির মারিশটা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখে আসেন মানুষের দুর্দশা। এই এলাকার ভার অধিকারীদের উপর দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা কোনওদিন গ্রাম যাননি, দেখে আসেননি। গ্রামের মানুষকে তিনি ধর্না দিতে বলেন। গ্রামে যাননি প্রধান, উপপ্রধানরাও। কেন তাঁরা যাবেন না, যামেদর ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের খোঁজ খবর রাখবেন না। অভিষেক আওয়াজ তোলেন, এইসব প্রধান-উপপ্রধানদের এর ইস্তফা চাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। অঞ্চল সভাপতি ইস্তফা দেবে।
Recommended Video
অভিষেক বলেন, মানুষের কাজ না হলে রাজনীতি করে লাভ নেই। তৃণমূল করতে গেলে মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষের কাজ করতে হবে। তাই কাল থেকেই প্রত্যেকে ১০টা করে গ্রামে যান। ৫০ জন নেতা আছেন অন্তত, তাঁরা ৫০০ গ্রামে যান। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলুন, যাঁরা অসহায় অবস্থায় আছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ান।