কেশপুর যাওয়ার পথে ‘দিদির দূত’ অভিষেক ঘুরলেন গ্রামে গ্রামে, মন্ত্রীকে ফোনে আর্জি
কপ্টারে যাওয়ার কথা থাকলেও মত বদলে তিনি সড়ক পথে যান কেশপুরে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, অভিষেক কোনও গ্রামে পরিদর্শনে যাবেন।
সম্প্রতি 'দিদির রক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা 'দিদির দূত' হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। এবার কেশপুর যাওয়ার পথে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং দিদির দূত হয়ে ঢুকে পড়লেন এক পিছিয়ে পড়া গ্রামে।
খড়গপুর সংলগ্ন একটি গ্রামনে ঘুরে ঘুরে অভিষেক কথা বলতে থাকেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। গ্রামবাসীরা অভিষেককে পেয়ে জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলেন। বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু ওই পাট্টা। তা শুনে অভিষেক সেই গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে দাঁড়িয়েই ফোন করেন মন্ত্রীকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুঝু শুনলেন না, তিনি সমস্যার কথা শুনে তৎক্ষণাৎ ফোন করলেন সেচমন্ত্রীকে। খড়গপুরের মাতকাতপুর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবির কথা তিনি আর্জি আকারে তুলে ধরেন মন্ত্রীর কাছে। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ফোন করে অভিষেক বলেন, খড়গপুরের এই গ্রামে ৯০-৯২টি পরিবারের বাস। এখানকার মানুষের কমন সমস্যা জমির পাট্টা। তাই পাট্টা নিয়ে যদি তাঁদের সমস্যার আশু সমাধান করা যায়, তা একটু অগ্রাধিকার দিয়ে দেখে দিও।
সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের অপারেশন হয়েছে, তাই কটা দিন বিশ্রামে আছেন। অভিষেক বলেন, পার্থদা তোমার অপারেশন হয়েছে, আমি জানি। তবু নিয়ম বলছি, যা আছে দেখে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করে দিও। অভিষেকের কথায় সম্মতি জানান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিয় অগ্রাধিকার দিয়ে দেখবেন বিষযটি।
এবারই প্রথম নয়, এর আগে কাঁথিতে জনসভা করতে যাওয়ার সময় এভাবেই মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শন করেছিলেন অভিষেক। মারিশদার কাছে তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গ্রামবাসীদের কাছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ শুনে তৎক্ষণাৎ সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন অভিষেক।
অভিষেকের সেই বার্তার পর প্রধান ও উপপ্রধান ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। অভিষেক দলের সাংগঠনিক পদাধিকারী হয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনাও হয় তা নিয়ে। এবার তিনি কেশপুরে যাওয়ার পথে গ্রাম ঢুকে জনসংযোগ করেন। কপ্টারে যাওয়ার কথা থাকলেও মত বদলে তিনি সড়ক পথে যান কেশপুরে।
তখনই একপ্রকাশ স্পষ্ট হয়ে যায় অভিষেকের কোনও গ্রাম পরিদর্শনের বাসনা রয়েছে। সেইমতো হঠাৎ তিনি ঢুকে পড়েন জিনশহর গ্রামে। সেখানে গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেন। এলাকায় দাঁড়িয়েই তিনি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন গ্রামবাসীদের পাট্টা সমস্যা মেটানোর। তারপর কেশপুরের সভাস্থলে উপস্থিত হন।