এভাবেই তৃণমূলে ব্রাত্য হয়েছিলেন মুকুল! শোভনের গুরুত্ব খর্বে এ কীসের ইঙ্গিত
নিরাপত্তা সরানোর পর ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ বাধ্য হয়েছিলেন তৃণমূল ছাড়তে। কলকাতার মহানাগরিক তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
প্রথমে একটা একটা করে পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর নিরাপত্তাও সরিয়ে নিয়েছিল রাজ্য। আর তাতেই প্রশস্ত হয়েছিল মুকুল রায়ের তৃণমূল ত্যাগের পথ। সবশেষে 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' বাধ্য হয়েছিলেন তৃণমূল ছাড়তে। কলকাতার মহানাগরিক তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
[আরও পড়ুন:বুদ্ধদেববাবুর পাশে স্বয়ং মমতা! সৌজন্যের নজির গড়ে এবার কী নির্দেশ দিলেন পুরসভাকে]
এদিন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জেড প্লাস নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আর সেই নিরাপত্তার মোড়ক সরিয়ে নিতেই রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেই রাজ্য সরকার জেড প্লাস নিরাপত্তা তাঁকে প্রদান করেছিল। এখন এমন কী হল, যাতে তা সরিয়ে নেওয়া হল।
এখন প্রশ্ন উঠেছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মাথার উপর থেকে কি হাত সরিয়ে নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তার উপর স্ত্রীর সঙ্গে মেয়রের পারিবারিক সম্পর্ক আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছনোর পর থেকে তার প্রভাব পড়ছিল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
এমতাবস্থায় মেয়ের নিরাপত্তা জেড প্লাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হল একেবারে সাধারণ পর্যায়ে। জেড প্লাস ক্যাটাগরিতে মন্ত্রী বা ভিভিআইপিরা বুলেট প্রুফ গাড়ি পেয়ে থাকেন। সেই গাড়ির সঙ্গে থাকেন ছটি কনভয়, সঙ্গে এসকর্ট ভ্যানও। এদিন বিধানসভায় দেখা যায় মেয়রের গাড়ির কনভয়ে শুধু দুটি এসকর্ট ছিল।
তখনই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। সরকারিভাবে কিছু বলা না হলেও, পরে জানা যায় মঙ্গলবারই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর বুধবার থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যেদিন আমাকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, সেদিন যেমন আমি জানতাম না কেন দেওয়া হল, আজও তেমনই জানি না কেন সরিয়ে নেওয়া হল।'
[আরও পড়ুন: তৃণমূল মহাসচিবকে মদনের পাশে দাঁড় করালেন মুকুল, পাল্টা বাণ ছাড়লেন 'বাচ্চাছেলে' পার্থ]