বাবার কবিতা চুরি ফেসবুকে! প্রতিবাদের জেরে এসকর্ট সার্ভিসে তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর
বাবার লেখা কবিতা অন্যের নামে ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ করেন তরুণী। এর পরেই তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয় এসকর্ট সার্ভিসের তালিকায়। সঙ্গে সুপার ইমপোজ করা ছবি।
বাবার লেখা কবিতা অন্যের নামে ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ করেন তরুণী। এর পরেই তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয় এসকর্ট সার্ভিসের তালিকায়। সঙ্গে সুপার ইমপোজ করা ছবি। ঘটনার জেরে দমদম থানা ও লালবাজারের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের তরুণীর পরিবারের।
কবিতা লেখেন দমদমের এক প্রৌঢ়। অনেকেই কবিতা লেখেন, যার মধ্যে বিশেষত্ব কিছু নেই। তবে তাঁর তরুণী মেয়ে সেই কবিতা ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় দিত। একদিন হঠাৎই দেখেন নিজের বাবার লেখা কবিতা, সেই ফেসবুকেই অন্য নামে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন দমদম থানা এলাকার ওই তরুণী। অভিযোগ এর পরেই তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয় এসকর্ট সার্ভিসে। এমন কী তরুণীর ছবি সুপার ইমপোজ করা হয়। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর। তারপর থেকেই কুপ্রস্তাব দিয়ে তরুণীর কাছে ফোন আসতে থাকে। এই মুহূর্তে লজ্জায় নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছেন ওই তরুণী।
যাঁর কবিতা নিয়ে গণ্ডগোল, অভিযোগকারী তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু গল্প, উপন্যাস, কবিতা সংকলন প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়। এরই কিছু কিছু বাছাই করা অংশ নিজের মেয়ে ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেখা যায়, এক মহিলার প্রোফাইলে সেই কবিতার কিছু অংশ পোস্ট করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী।
এর পাল্টা হিসেবে দুষ্কৃতীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপার ইমপোজ করা ছবির সঙ্গে তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় বিষয়টি।
স্থানীয় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর লালবাজারে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জানিয়েছে তরুণী ও তার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।