'ডাকেনি বলে হিংসা হলে, বার্নল লাগাতে পারেন', বলে তথাগতকে পাল্টা দিলেন কুণাল ঘোষ
রাজ্যে খুন হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা, আর একসঙ্গে কেক কাটছেন দিলীপ ঘোষ-কুণাল ঘোষরা৷ এই বিষয়ের সমালোচনা করে রবিবার পর পর ফেসবুক পোস্টে তোপ দেগেছিলেন তথাগত রায়। সোমবার পরপর টুইটে তারই জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। তথাগতর টুইটগুলি শেয়ার করে কুণাল নিজের বক্তব্য রেখেছেন৷
রবিবার তথাগত ফেসবুকে লিখেছিলেন, দিলীপ-সুকান্তর সমালোচনা করে একটি পোস্টে তথাগত লেখেন, যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক শত্রুতা, এমনকি প্রতিপক্ষতাও আছে, দল বেঁধে তাদের সঙ্গে বেশি আহ্লাদ করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এতে মুখ ফস্কে গোপন কথা বেরিয়ে যেতে পারে, নানা লোকে নানারকম অর্থ করতে পারে। এগুলো রাজনীতির প্রথম পাঠের মধ্যেই পড়ে।' এরই জবাবে সোমবার একটি টুইটে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, 'আশা করি ইনি (তথাগত রায়) তাঁর ভাই সৌগত রায়ের সঙ্গে দেখা করেন না। কথা বলেন না। ভ্রাতৃত্ববিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। অন্য দল বলে কথা!! পারিবারিক দুর্বলতায় মুখ ফসকে ওঁর দলের কথা বেরিয়ে যায় না তো? নাকি তৃণমূল ভাইয়ের প্রভাবেই তিনি বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে যান? জ্ঞানটা নিজেকে দিন আগে।'
বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগতর আরও অভিযোগ ছিল,'কুণাল ঘোষ বিশাল এক পোস্ট দিয়ে তাঁর সঙ্গে দিলীপ-সুকান্তর মাখামাখির সপক্ষে সাফাই গেয়েছেন। যে যা বোঝার বুঝে নিন। অন্তর্ঘাত ও রাজনৈতিক naïveté-র (সরলতা ও বোকামির এক শিশুসুলভ মিশ্রণ) বড় একটা দেখা যায় না। বাহবা !' এরই উত্তরে কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, 'দেখা, সৌজন্য, সভ্যতা আর মাখামাখির তফাৎ আছে জানি। চ্যানেলের জন্মদিন। তাদের আমন্ত্রণ। তাদের কেক। আমন্ত্রিতরা কি মারামারি করবে? এই সৌজন্যে রাজনৈতিক মেরুকরণ নষ্ট হয় না। যে কেউ বুঝবেন। তবে হ্যাঁ, ডাকেনি বলে অনেকের হিংসা হতে পারে। বার্নল লাগাতে পারেন।'
সম্প্রতি একটি বাংলা টিভি চ্যানেলের ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, বিজেপি প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার। এই অনুষ্ঠানেরই বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়৷ যেখানে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষ কেক কাটছেন এবং পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদাররা। এরকম একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে মাখামাখি করা নিয়ে দিলীপ-সুকান্তদের একহাত নিয়েছিলেন তথাগত রায়। তবে শুধু তথাগত নয়, ওই ছবি নিয়ে বিজেপি সমর্থকদের অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে।