ফুটবল এবং খাওয়াদাওয়া, ডবল ডোজে মন ভরাবে মগজাস্ত্রের খানা খাজানা
এক বিশ্বকাপ হচ্ছে। আরেক বিশ্বকাপ আসছে। মানে এই বছরেই হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। তৈরি হচ্ছে কাতার। আর এই শহরের প্রতি যে কী পরিমান ভালবাসা রয়েছে তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আবার বিশ্বকাপ এলে বিভিন্ন দেশের ফ্যানে ভাগ হয়ে যায় এই শহর। কেউ সমর্থন করে ব্রাজিলকে, কেউ আবার সমর্থক আর্জেন্টিনার। এখন জার্মানি, পর্তুগাল এদের সমর্থকও রয়েছে। এবার এই খেলা দেখা তো আছে তার সঙ্গে যদি একটু খাওয়া দাওয়া হয়ে যায়? তাহলে আর কী চাই? আনন্দটাই আলাদা। বাঙালি খাওয়াদাওয়া এবং ফুটবল দুই ভালোবাসে।সেখান থেকেই থিম রেস্তোরাঁ ভেবেছে এক দারুণ ভাবনা। দুই ভালোবাসাকে এক জায়গায়া এনে দিয়েছে।
২৯৯ টাকায় পাওয়া যাবে একদম বাঙালির সব প্রিয় খাবার। নাম বিশ্বকাপ থালি। এতে থাকবে মাছের চপ, বাসমতী চালের ভাত, শুক্তো, মুগের ডাল, ভাজি, ফুলকপির রোস্ট, কচুপাতা চিংড়ি ভাপা, পাবদা সর্ষে, চিকেন ও মটন ডাকবাংলো, চাটনী , পাঁপড়, মিষ্টি।
ভারতবর্ষ
তথা
সারা
বিশ্ব
আমাদের
দৃঢ়
মানসিকতা,
নবীন
চিন্তাভাবনা,
দুর্দান্ত
সাহসীকতা
অসামান্য
সাহিত্যিক
দক্ষতা
এবং
আমাদের
ঘরানার
সুস্বাদু
খাবারের
জন্য
মনে
করেন।
আমরা
বাঙালি
হিসেবে
বাংলা
থেকে
পেয়েছি
বাংলার
অপরূপ
সৌন্দর্য,
সুভাষচন্দ্র
বসু,
রবীন্দ্রনাথের
মত
অসাধারণ
কিছু
ব্যক্তিত্ব।
ঠিক
সেরকমই
সত্যজিৎ
রায়
আমাদের
দিয়েছেন
ফেলুদার
মত
একটি
উপন্যাস।
ফেলুদার
গোয়েন্দা
কাহিনী
গোটা
বিশ্বের
সর্বকালীন
কয়েকটি
গোয়েন্দা
কাহিনীর
মধ্যে
অন্যতম।
তাকে
নিয়েই
তৈরি
হয়েছে
রেস্তোরাঁ।
এটি একটি ফেলুদা থিমড রেস্টুরেন্ট। ফেলুদার প্রত্যেকটি কাহিনীর কোন না কোন একটি স্মৃতি দিয়ে রেস্টুরেন্ট এর প্রত্যেকটি কোনা সাজানো রয়েছে। রহস্য রয়েছে খাবারেও ,ফেলুদা ১ থেকে ৩ রকম থালি রয়েছে,প্রতিটি অসাধারণ। ছোটখাটো ফেলুদা মিউজিয়াম ও বলা যেতে পারে ।
আর তার সাথেই অথেন্টিক বাঙালি খাবারের সম্ভার । আলু ভাজা, পটল ভাজা থেকে ভাপা ইলিশ বিরিয়ানি সবই পাওয়া যায়। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ফেলুদার এরকম স্মৃতি গুলো একসাথে উপলব্ধি করতে চাইলে আসতে হবে এখানে।
এদিকে কাতার বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে এই শহর।এপ্রিল মাসে ওয়েস্ট বে-তে নবনির্মিত টাওয়ার কংক্রিটের কঙ্কাল ছাড়া কিছু ছিল না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় একে একে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল ক্রেন। ২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নতুন স্টেডিয়াম, মেট্রোর সঙ্গেই এই টাওয়ার ছিল বড় প্রকল্পগুলির অন্যতম। বিদেশ থেকে শ্রমিকদের কাতারে নিয়ে গিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। কয়েকটি বিল্ডিংয়ে কিছু কাজ বাকি। কাটারা কালচারাল ভিলেজে একটি হোটেল তৈরি হয়েছে তাজমহলের আদলে। বিলাসবহুল ৫৯টি লাক্সারি রুমের ৩২টি চলতি মাসেই খুলে দেওয়া হবে। কয়েকটি ভিলায় রং করা হবে, ক্রেন রেখে দেওয়া হয়েছে কিছু কাজ এখনও বাকি থাকায়।
দোহার উত্তর দিকে, দোহা গলফ ক্লাবে তৈরি হচ্ছে একটি মঞ্চ। বিশ্বকাপের সময় সেখানে কনসার্ট আয়োজন করা হবে। লুসেলের ৮০ হাজার দর্শকাসনবিশিষ্ট স্টেডিয়ামের আশেপাশে ক্রেনের ঘোরাফেরা রাতের দিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অসমাপ্ত কাজ সেরে ফেলার জন্য। তবে এখনও কিছু ফ্যানজোনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কাতারা টাওয়ারসে দুটি তরবারির মতো দেখতে হোটেল তৈরি হয়েছে। বিলাসবহুল এই হোটেলেও কাজ চলছে। এই টাওয়ারগুলির কাছেই এনে খাঁচায় রাখা হচ্ছে পাঁঠা ও মুরগি। বাংলা থেকেও প্রচুর মাংস রফতানি হচ্ছে কাতারে বিশ্বকাপের সময়কার চাহিদা মেটানোর জন্য।