ঐতিহাসিক ট্রামে এবার দেশ-স্বাধীনের ইতিহাস! ভাল লাগবে চলন্ত জাদুঘরে, বলছেন উদ্যোক্তা থেকে মন্ত্রী
ঐতিহাসিক ট্রামে লাইব্রেরি তৈরির পরে এবার দেশ-স্বাধীনের ইতিহাস! নজর কাড়বেই, বলছেন উদ্যোক্তা থেকে মন্ত্রী
কলকাতার ঐতিহাসিক ট্রামের (tram) মধ্যেই এবার মিউজিয়াম। দেশের স্বাধীনতার (independence day) ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে এর উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহণ-আবাসন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) । ছিলেন পরিবহণ দফতরের সচিব রাজেশ সিনহা এবং ডব্লুবিটিসির এমডি রাজনভির সিং কাপুর।
ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণ দফতরের বিবৃতি
অনুষ্ঠানে
পরিবহণমন্ত্রী
ফিরহাদ
হামিক
বলেন,
ভারত
হল
শান্তির
দেশ।
বাংলা
বিবিধের
মধ্যে
ঐক্যে
বিশ্বাসী।
এই
জাদুঘরে
বাংলার
নৈতিকতার
প্রতিফলন
ফুটে
উঠেছে।
স্বাধীনতা
সংগ্রামে
বাংলার
একটা
বড়
ভূমিকা
ছিল।
সেখানে
মিউজিয়াম
অন
হুইলস
আমাদের
স্বাধীনতা
সংগ্রামীদের
লড়াই
এবং
বাংলা
ও
পঞ্জাবের
বিভাজনের
প্রভাবকে
তুলে
ধরেছে।
এই
মিউজিয়াম
অন
হুইলস
১৫
অগাস্ট
থেকে
ডিসেম্বরের
শেষ
পর্যন্ত
এসপ্ল্যানেডেই
থাকবে।
২০২২-এর
১
জানুয়ারি
থেকে
তা
শহরের
বিভিন্ন
অংশে
প্রদর্শিত
হবে
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
অন্যদিকে
পরিবহণ
সচিব
রাজেশ
সিনহা
জানিয়েছএন,
মিউজিয়াম
অন
হুইলস
স্বাধীনতা
আন্দোলন
এবং
বাংলা
ও
পঞ্জাবের
বিভাজনের
প্রভাবকে
তুলে
ধরেছে।
এই
জাদুঘরে
প্রবেশে
কোনও
প্রবেশ
মূল্য
থাকছে
না।
এটি
একটি
স্থায়ী
প্রদর্শনী
হবে
এবং
শহরে
ঘুরে
বেড়াবে।
সহযোগী সংস্থার বিবৃতি
এই জুদাঘর তৈরি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে আর্টস অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ট্রাস্ট। এই সংস্থার ফাউন্ডার ট্রাস্টি মল্লিকা আলুওয়ালিয়া বলেছেন, কলকাতায় জাদুঘর প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে তারা রোমাঞ্চিত। স্বাধীনতার ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রাম, বাংলা ও পঞ্জাবের সীমানা আঁকা রয়েছে সেখানে। পাশাপাশি কলকাতার ট্রামের নিজেস্ব একটা ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ট্রামের মাধ্যমেই তারা কলকাতার মানুষের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁরা আশা করছেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তরুণরা দেশের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস দেখতে পাবে। তারা এই প্রচেষ্টা তুলে ধরতে পারার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ডব্লিবিটিসির কাছে কৃতজ্ঞ।
ট্রাম লাইব্রেরির পরে এবার ট্রামেই স্বাধীনতার জাদুঘর
ডব্লুবিটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রণভীর সিং কাপুর বলেছেন, বিশ্বের প্রথম ট্রাম লাইব্রেরি এবং ট্রাম ওয়ার্ল্ডের পরে দেশের স্বাধীনতার ওপরে মোবাইল জাদুঘর করতে পেরে তারা খুবই খুশি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা ট্রামের গুরুত্বকে সামনে আনতে পেরেছেন। যা মানুষের জানার একটি দুর্দান্ত উপায় বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
ভার্চুয়ারি ছিলেন অনেকে
এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে যোগ দেন লর্ড মেঘনাদ দেশাই এবং লেডি কিসোয়ার দেশাই। এছাড়াও মিউজিয়ামের কিউরেটর মল্লিকা আলুওয়ালিয়াও ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ দফতরের ডব্লুবিটিসির সঙ্গে যৌথভাবে চাকার ওপরে জাদুঘর তৈরি করেছে আর্টস অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ট্রাস্ট।