যাদবপুরে প্রৌঢ়ার শ্লীলতাহানি, পুলিশ রইল পুলিশেই
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২ জুন। বাঘা যতীনের বাসিন্দা ওই দম্পতি যাদবপুরের পোদ্দারনগরে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পোদ্দারনগরে পৌঁছে রাস্তায় গাড়ি 'পার্ক' করছিলেন প্রৌঢ়ার স্বামী। আর ওই প্রৌঢ়া গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কাছেই একটি দাঁড়িয়ে থাকা অটোর পাশে বসে দশ জন যুবক মদ খাচ্ছিল। একজন উঠে এসে ওই মহিলার উদ্দেশে নোংরা ভাষায় কথা বলে এবং শাড়ি ধরে টান মারে। তিনি চিৎকার করতেই তাঁর স্বামী এগিয়ে আসেন। তখন বাকিরা উঠে এসে ওই ভদ্রলোককে চড়-থাপ্পড় মারে। তারা ওই প্রৌঢ়ার শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। চেঁচামেচি শুনে সংশ্লিষ্ট দম্পতির আত্মীয়রা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের মারমুখী মূর্তি দেখেই সম্ভবত যুবকরা ভয়ে পিঠটান দেয়। অবশ্য শাসিয়ে যায়, পরে দেখে নেওয়া হবে বলে।
ওইদিন রাতেই তাঁরা থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (এ) এবং ৩২৩ ধারায় অভিযোগ রুজু করে। প্রথমটি হল, কোনও মহিলাকে ইচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করা। দ্বিতীয়টি হল, কাউকে মারধর। দু'টিই জামিনযোগ্য অপরাধ। অথচ ৩৫৪ ধারায় (শ্লীলতাহানি) মামলা রুজু করলে তা জামিনযোগ্য হত না। আর এখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে দায়সারা মনোভাবের অভিযোগ উঠেছে।
ওই মহিলার স্বামী বলেন, "আমাকে যখন ছেলেগুলো মারছিল, তখন আমি, আমার স্ত্রী দু'জনেই চিৎকার করছিলাম। লোকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। কেউ এগিয়ে আসেনি। ঠিক সময় আমার আত্মীয়রা এসে না পড়লে কী হত, বলা মুশকিল।" তিনি আরও জানান, অভিযোগ রুজু করে আসার পরও থানা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, যেটা এ ধরনের মামলায় করা উচিত। পার্ক স্ট্রিট, কড়েয়ার ঘটনায় পুলিশের গালিফতি নিয়ে বিস্তর হইচই হলেও এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল কলকাতা পুলিশ রয়েছে কলকাতা পুলিশেই!