ফাইল হাতে হাইকোর্টে সুকন্যা মণ্ডল পৌঁছতেই গরু চোর বলে চিৎকার মহিলার
হাইকোর্টে পৌঁছতেই অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল চোর সম্বোধন মহিলার! বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়ছেন সুকন্যা। সাংবাদিকদের এড়িয়ে হাইকোর্টের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তি
হাইকোর্টে পৌঁছতেই অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল চোর সম্বোধন মহিলার! বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়ছেন সুকন্যা। সাংবাদিকদের এড়িয়ে হাইকোর্টের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে একেবারে ছেকে ধরে।
একের পর এক প্রশ্নবাণ কার্যত সুকন্যাকে ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকরা। টেট পাশ করেছেন কিনা তাও জিজ্ঞেস করা হয়। কিন্তু কোনও প্রশ্নের উত্তর সুকন্যা দেননি। একেবারে স্পিকটি নট অবস্থায় হাইকোর্টের মধ্যে ঢুকে যান তিনি।
চোর সম্বোধন মহিলার
একেবারে কড়া নিরাপত্তায় সুকন্যাকে কলকাতা হাইকোর্টের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তার মধ্যেই এক মহিলা অনুব্রত কন্যাকে লক্ষ্য করে 'গোরু চোর' এবং 'গরু চোরের মেয়ে' বলে চিৎকার করতে শুরু করে দেন। কার্যত সবাই হকচকিয়ে পড়েন এহেন কাণ্ডে। বলে রাখা প্রয়োজন, যেদিন অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয় সেদিন গোটা রাস্তায় একাধিকবার গরু চোর বলে লোকজন চিৎকার করেছে। এমনকি পার্থকে লক্ষ্য করে এক মহিলা জুতো ছুঁড়ে পর্যন্ত মেরেছিলেন। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে।
মেজাজ হারান মহিলা
কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরের মধ্যেই গরু চোরের মেয়ে বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন ওই মহিলা। ওনার নাম আরতি মিত্র বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর দাবি, কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। মুখ ঢাকা দিয়ে যাচ্ছে। বাপ গরু চোর তাঁর মেয়ে। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। আর এরা গরীবের মেরে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর কেউ টেট কিংবা প্রাথমিকে চাকরির জন্যে আবেদন করেননি বলেই জানিয়েছেন আরতি দেবী। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে দাবি, উনি জজ নন, গরীবের ভগবান। তবে আমরা সবাই ন্যায় চাই বলেও চিৎকার করতে থাকেন আরতিদেবী।
ফাইল হাতে ঢোকেন সুকন্যা
একটি ফাইল হাতে অনুব্রত কন্যাকে আদালতের মধ্যে ঢুকতে দেখা যায়। তবে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে একাধিক প্রশ্ন করলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। জানা যাচ্ছে, এদিন আদালতে সুকন্যার হয়ে মামলা লড়বেন অরুণাভ ঘোষ। তবে মামলা শুরুর আগে দীর্ঘক্ষণ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অনুব্রত কন্যাকে। তবে এদিন শুধু সুকন্যাই নয়, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ভাই-ভাইপো সহ পাঁচ জনই আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্যে চলে এসেছেন বলে খবর। সুকন্যা সহ ছয়জনের জন্যে বিরুদ্ধে টেট না দিয়ে শিক্ষাকতা করছেন বলে অভিযোগ।
কালো টাকার উৎস খুঁজতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কলকাতা জুড়ে আয়কর হানা