বাঁচি অথবা মরি, মোদীকে রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠাবই : নোট বিতর্কে হুঙ্কার মমতার
নোট বাতিল বিতর্কে প্রথম থেকেই কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একেবারে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে রাজনীতি থেকে উৎখাত করার হুমকি দিলেন মমতা।
কলকাতা, ২৮ নভেম্বর : নোট বাতিল বিতর্কে প্রথম থেকেই কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একেবারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজনীতি থেকে উৎখাত করার হুমকি দিয়ে বসলেন তিনি।
এদিন রাজ্য জুড়ে বামেরা ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। সেই বনধে সরকারের মত নেই। সেজন্য বনধ ব্যর্থ করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে উল্টে পথে নেমেছিলেন মমতা। এদিন কলকাতার জনপথে হেঁটে পরে মঞ্চ বেঁধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা।
জানিয়েছেন, তিনি বাঁচুন অথবা মরুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজনীতি থেকে দূরে পাঠিয়েই ছাড়বেন। এদিন মমতা বারবারই নিজের ভাষণে কেন্দ্রকে তোপ দাগার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন।
বলেন, সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সেকথা কানেই তুলছেন না প্রধানমন্ত্রী। বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্র আক্রান্ত, তবে প্রধানমন্ত্রীর তাতে থোড়াই কেয়ার করছেন।
প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে ভগবানের মতো নির্দেশ নিয়ে হাজির হলেন। কাউকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন মনে করলেন না। এদিকে এতবড় একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন।
এদিন মোদীকে রাজনীতি থেকে সরানোর কথা বলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসে ধরনারও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তের জেরে সারা দেশে এক ভয়ানক দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশজুড়ে টাকার জন্য হাহাকার চলছে। অ্যাকাউন্টে টাকা থেকেও মানুষের হাতে টাকা নেই। গরিব কৃষক, শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশের এক অদ্ভুত অরাজকতা তৈরি হয়েছে। আর এই অচলাবস্থা জারি হয়েছে কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই নোট বাতিলের ফলে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আমজনতাকে তাই প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেন তৃণমূল নেত্রী। এদিকে বামেদের ডাকা বনধে রাজ্যে সেভাবে কোনও সাড়াই পড়ল না। কিছু জায়গায় রাস্তায় নেমে বামেরা বিক্ষোভ দেখালেও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ পথে নেমে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। স্কুল-কলেজ-অফিস-ব্যবসা সমস্তকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।