পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নে, থাকবে কি মন্ত্রিত্ব বা তৃণমূলের মহাসচিব পদ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, অন্যদিকে দলরে মহাসচিব। শিল্প ছাড়াও আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী তিনি। তার মধ্যে রয়েছে পরিষদীয় দফতরও।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, অন্যদিকে দলরে মহাসচিব। শিল্প ছাড়াও আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী তিনি। তার মধ্যে রয়েছে পরিষদীয় দফতরও। এখন এইসব দফতরের মন্ত্রিত্ব ও দলরে বড় পদ নিয়ে তৃণমূল কী করবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্থ কি থাকবেন মন্ত্রী বা তৃণমূলের মহাসচিব পদে
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার পর তিনি কি থাকবেন মন্ত্রী পদে, তাঁকেই কি তৃণমূলের মহাসচিব পদে রেখে দেওয়া হবে। সেই প্রশ্নে চর্চা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেরা চলছে, শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীকে। তারপর এদিন দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি তৃণমূল। তৃণমূল বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই এ ব্যাপার কিছুই জানাননি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তারপরও রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী নীরব। এখনও তিনি তৃণমূলের মহাসচিব পদে রয়েছেন। দলীয় পরিকাঠামো অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীচেই তাঁর অবস্থান।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে কি ব্যবস্থা তৃণমূলের
এখন দেখার গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা দলগতভাবে নেওয়া হয় কি না। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দল ঘটনাপ্রবাহের দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। যথাসময়েই তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকবেন কি না বা তিনি দলের মহাসচিব পদে থাকবেন কি না, তা জানতে এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান
দলের পদ থেকে সরাতে গেলে যেমন দলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তেমনই রাজ্য সরকারের মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে সরাতে গেলেও একটা প্রসিডিওর মেন্টেন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে হবে রাজ্যপালকে। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন কি না, সেটাও দেখার। মোট কথা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূল কী অবস্থান নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
২৭ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার, আদালতে পেশ
ইডির আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল সাতটায় হঠাৎ হানা দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তারপর নয় নয় করে ২৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতে তোলা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠতেই তৃণমূল তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন আশ্চর্যজনকভাবে চুপ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে, তেমনই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই ওই টাকা উদ্ধার বা দুর্নীতির। এখন তাই ধন্দ তৈরি হয়েছে, দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে কি না। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল আগে থেকেই।
কী আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভবিষ্যতে
এখন দেখার তাঁকে দলীয় পদে এবং মন্ত্রিত্ব রাখা হয় কি না। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে বিধানসভায় ইডি কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিধানসভা চলবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়েছে। উল্লেখ্য, এর পাশাপাশি তিনি শিল্পমন্ত্রী এবং তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স দফতরের মন্ত্রীও।