অমিত শাহের ধমক খেলেন দিলীপ, মুকুল এলেই কি বদল হবে সভাপতির পদে
কানাঘুষো চলছে যে মুকুল বিজেপিতে যোগ দিলে দলের রাজ্য সভাপতির পদ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরে যেতে হতে পারে দিলীপ ঘোষকে।
নতুন কেউ দলে এলে তাকে নিয়েই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রাজনীতিতে এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। তৃণমূলত্যাগী মুকুল রায় বিজেপিতে আসতে চলেছেন এটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেই প্রেক্ষিতে বদলে যেতেই পারে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ। এমনটাই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।
বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষো চলছে যে মুকুল বিজেপিতে যোগ দিলে দলের রাজ্য সভাপতির পদ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরে যেতে হতে পারে দিলীপ ঘোষকে। তাছাড়া গত কিছুদিনে যেভাবে পাহাড় ইস্যুতে ঘরে বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ তাতে তিনি অদূর ভবিষ্যতে দলের দায়িত্বে থাকবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েইছে। যদিও সরকারিভাবে বিজেপি নেতৃত্ব এই নিয়ে কোনও কথা জানায়নি।
এর আগে দার্জিলিংয়ে গিয়ে মোর্চা সমর্থকদের হাতে মার খেতে খেতে বেঁচেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দার্জিলিংয়ে সভা করতে গেলে তাঁর উপরে হামলা চালায় বিনয় তামাং সমর্থিত মোর্চা সমর্থকেরা। আর এবার পাহাড় ইস্যুতে পলাতক বিমল গুরুংয়ের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে বক্তব্য রাখায় দিলীপ ঘোষের উপরে চটেছেন অমিত শাহ। দলীয় সূত্রে খবর, তিনি নাকি ধমক খেয়েছেন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানতে চেয়েছে ফেসবুকে দিলীপের বয়ান কে লিখেছেন। আগামিদিনে কোনও বয়ান পোস্ট করার আগে তা খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। দিলীপ ঘোষ ফেসবুকে লেখেন, "বিমল গুরুঙ্গ এবং তাঁর গোষ্ঠীর উপর রাজ্য সরকার অপ্রয়োজনীয় ভাবে যে হিংসা নামিয়ে এনেছে, আমরা তা সমর্থন করি না। তিনি যখন তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, তখন তিনি ভাল ছিলেন! আর এখন যে হেতু তিনি বিজেপি-র সঙ্গে আছেন, তাই তাঁকে সন্ত্রাসবাদী এবং সমাজবিরোধী বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
এই বক্তব্যে রাজ্যের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে বলে মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি বুঝতে পারছে রাজ্যের মানুষ বাংলা ভাগ চায় না। ফলে বিমল গুরুংয়ের পাশে সরাসরি দাঁড়ালে তা রাজ্যে বিজেপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মুকুলের ভবিষ্যৎ ঠিক করার পরই কি রাজ্য নেতৃত্বে রদবদলের প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব?