দলের মত না মানায় মানস ভুঁইয়াকে কি সাসপেন্ড করবে কংগ্রেস?
কলকাতা, ৮ জুলাই : কোনওভাবেই পার্টিলাইন অমান্য করা যাবে না। সব দলেই এই নির্দেশ থাকে। তেমন কংগ্রেসেও রয়েছে। দলের নির্দেশ ছিল, জোট ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ফলে তৃণমূলের টোপ দেওয়া পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ কোনওভাবেই গ্রহণ করতে পারবেন না সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
কিন্তু দলের সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিন পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করলেন মানস ভুঁইয়া। এদিন চিঠি পাওয়ার পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানান তিনি।
অধ্যক্ষকে মানসবাবু জানিয়ে এসেছেন, আগামী দু'দিন ব্যক্তিগত কাজে রাজ্যের বাইরে থাকবেন তিনি। ফিরে এসে কবে পিএসি-র বৈঠক ডাকা যায় তা স্থির করবেন তিনি।
এদিকে মানসবাবুকে নিয়ে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আগামিকাল শনিবার। মানস ভুঁইয়া তার আগেই দলের লাইন না মেনে তৃণমূলের দেওয়া পদ গ্রহণ করার দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেসের শনিবারের বৈঠক তাই কার্যত দলে মানসবাবুর ভাগ্য নির্ধারণের বৈঠক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, হাইকম্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সেখানে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে। কারণ সোনিয়া গান্ধী সহ হাইকম্যান্ডের নির্দেশের পরই পিএসি-র পদটি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ছাড়ার কথা বলেছিলেন বিধানসভায় কংগ্রেস দলনেতা আবদুল মান্নান। ফলে হাইকম্য়ান্ডের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজে এসএমএস করে মানস ভুঁইয়াকে তৃণমূলের দেওয়া পদ গ্রহণ না করার পরমার্শ দেন। জোটবদ্ধ বাম-কংগ্রেসে ফাটল ধরাতে এটা তৃণমূলের কৌশল বলেও ব্যাখ্যা করেছিলেন অধীরবাবু। পাল্টা এসএমএস করে অধীরবাবুকে মানস ভুঁইয়া জানান, এটা কংগ্রেসের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নয়।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে মানস ভুঁইয়াকে দল থেকে তাড়ানোর পরিবর্তে সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর। যদিও সেক্ষেত্রে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সম্মতি পেতে হবে। এক্ষেত্রে মানসবাবুর কি প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই আপাতত দেখার।