অভিষেক কি সাহস দেখাবেন! মুকুল রায়ের সমকক্ষ হয়ে ওঠার ডাক তৃণমূলীদেরই
এখন প্রশ্ন একটাই, মুকুল রায়ের বাক্য-বাণে এলোমেলো হয়ে যাওয়া তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন কোনও কি চমক দেবেন? নাকি আড়ালে থেকে আইনি লড়াইয়ের ঘুঁটি সাজাবেন তিনি? মুকুল রায় পুরনো ফাইল খুলে যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, তার যোগ্য জবাব দিতে তৃণমূল চাইছে প্রকাশ্যে আসুন যুব সভাপতি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে তিনি তোপ দাগুন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশে মুকুল রায় প্রথম টার্গেট করেন অভিষেককে। বিশ্ব বাংলার মালিকানা নিয়ে অভিষেককে তোপ দাগেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেকও পাল্টা দেন। তিনি আইনি নোটিশ পাঠানোরও হুঁশিয়ারি দেন।

[আরও পড়ুন:তৃণমূলের 'স্ক্যানার'-এ মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু! ধর্মতলায় অগ্নিপরীক্ষা তাঁর আনুগত্যের]
এরপরই একই জায়গায় যুব তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা সভা ডাকে। তিনদিনের ব্যবধানে এই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল রায়ের আনা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি জন সমাবেশকে হয়তো এদিন ছাপিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মুকুল রায়ের সমকক্ষ হয়ে তৃণমূলের শিবিরে কে দাঁড়াবেন, সেখানেই তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন।
যুব-তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য-সমর্থকরা চাইছেন তাঁদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সামনে আসুন। মুকুল রায়কে মুতোর জবাব দিন। বুঝিয়ে দিন তিনিই ঠিক, মুকুল রায় যা বলছেন, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই, তাঁর কথার কোনও সারবত্তা নেই। এখন কর্মী-সমর্থকদের সেই আবদার অভিষেক রাখবেন কি না, তিনি এই সমাবেশে কোনও চমক দিতে উপস্থিত হবে কি না, তা পরিষ্কার করেননি। রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে অভিষেকের সেই পদক্ষেপের দিকেই।