এক-আধদিন নয়, পাঁচদিন স্বামীর পচা-গলা দেহ আগলে ঠায় বসে ছিলেন ‘একা’ স্ত্রী
মৃত স্বামীর পচা-গলা দেহ আটকে ঠায় বসে রইলেন স্ত্রী। তাও এক-আধদিন নয়, পাঁচদিন স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে বন্ধ ঘরে একা বসে কাটিয়ে দিয়েছেন।
শহরে ফের রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া। মৃত স্বামীর পচা-গলা দেহ আটকে ঠায় বসে রইলেন স্ত্রী। তাও এক-আধদিন নয়, পাঁচদিন স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে বন্ধ ঘরে একা বসে কাটিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী হাসিরানি দেবী। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতেই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন, মৃত স্বামীকে নিয়ে বসে রয়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে এই ঘটনা দেখেই তাজ্জব বনে যান স্থানীয়রা। পুলিশও তাজ্জব। মৃত বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হাসিদেবীর চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। হরিদেবপুরে শিখাকুঠিতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম অমরকুমার স্যান্যাল।
অমরবাবু ও হাসিদেবী নিঃসন্তান ছিলেন। বন্দরে চাকরি করতেন অমরবাবু। পাড়ায় ধার্মিক ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে মিশতেন না। গত চার-পাঁচদিন যাবৎ পাড়ায় দেখা যাচ্ছিল না অমরবাবুকে। এবং বাড়ির সমানে জমা হচ্ছিল খবরের কাগজ।
তা দেখে সন্দেহ হয় পাড়া-প্রতিবেশীদের। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তখনই পাড়ার লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু কোনও আওয়াজ না পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের উপস্থিতিতেই দরজা ভেঙে দেখা যায়, অমরবাবুর মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছেন স্ত্রী হাসিদেবী। এলাকার মানুষ বলেন, হাসিদেবীর মানসিক স্থিরতা ছিল না। তাঁকে বাড়ির বাইরেও প্রায় দেখাই যেত না।