মেদিনীপুরের বধূ নির্যাতনের মামলায় সিপিকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি হাইকোর্টের
বধূ নির্যাতন মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে তলব করেছিল হাইকোর্ট।
বধূ নির্যাতন মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল সিপিকে। গৃহবধূর ওপর শারীরিক অত্যাচার, স্বামীর বিরূদ্ধে। পুলিশকে বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও পুলিশ কোন রিপোর্ট জমা দেননি তদন্তকারী আধিকারিক।
এই মামলায় হতে লেখা রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আদালতে হাজির হন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেনি। আদালতের কাছে আবেদন মামলার পরবর্তী শুনানিতে তিনি ফ্রেশ রিপোর্ট পেশ করতে হবে। আর হাজির হতে হচ্ছে না সিপিকে।
মামলাকারীর আইনজীবী প্রসূন দত্ত জানান ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয় উল্টোডাঙ্গা মহিষাদল এর বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা তন্ময় জানার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর ওই যুবতী অভিযোগ করেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর পণের দাবিতে অত্যাচার করছে। ঘটনায় স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি মামা শশুর শাশুড়ী সহ পরিবারের একাধিক লোকের নামে উল্টোডাঙ্গা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। পাশাপাশি তিনি স্ত্রীধন দাবিও জানান।
পরে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগাম জামিনের আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তন্ময় জানা ও তার পরিবার। আদালত সূত্রের খবর, পরপর দুদিন মামলার শুনানিতে এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে আদালতে রিপোর্ট নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন তদন্তকারী অফিসার আদালতে উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা। কি কারনে? কেন তদন্তকারী অফিসার আদালতে হাজির হননি তার কারণ দর্শাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি)কে ডেকে পাঠান আদালতে। কিন্তু আদালত শুরু দ্বিতীয়ার্ধে আদালতে হাজির হয়ে তদন্তকারী অফিসার তার হাতে লেখা একটি চিঠি আদালতে পেশ করেন। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেনি। ওই তদন্তকারী অফিসার কে একবার সুযোগ দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ আকারে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন । মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
বাংলা সহ ৪ রাজ্য কেন্দ্রের থেকে এবার কোন 'ক্ষতিপূরণ' দাবিতে আইনি লড়াইয়ের পথে! উঠছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়