কেন তিনবছর মায়ের দেহ ফ্রিজে রাখেন ছেলে! বেহালা কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এদিন বেহালার জেমস, লং সরণিতে মজুমদার বাড়ি থেকে তিন বছর আগে মৃত এক বৃদ্ধার দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। একটি ফ্রিজারে দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল।
রবিনসন স্ট্রিটের দে বাড়ির কঙ্কাল কাণ্ডের স্মৃতি উসকে এদিন বেহালার জেমস, লং সরণিতে মজুমদার বাড়ি থেকে তিন বছর আগে মৃত এক বৃদ্ধার দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। একটি ফ্রিজারে দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় ফের সাড়া পড়ে গিয়েছে শহরে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া! ৩ বছর ধরে বাড়িতেই দেহ ]
নিহত বৃদ্ধার নাম বীণা মজুমদার। তিনি এফসিআই কর্মী ছিলেন। দেহের ভিতরের নাড়িভুঁড়ি বের করা দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযোগের তির ছেলে শুভব্রতর দিকে। বীণাদেবীর মৃত্যু হয় ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে।
এক প্রতিবেশীর সন্দেহই শেষপর্যন্ত বীণাদেবীর দেহ উদ্ধারে সাহায্য করল। তিনি দেখেছিলেন ফ্রিজ খুলে কিছু একটা গোপনে করত শুভব্রত। পরে বাড়িতে ফ্রিজার আসার পরে সন্দেহ গাঢ় হয়। পুলিশে যোগাযোগ করা হলে তারপরে রহস্যের পর্দাফাঁস হয়।
ছেলে শুভব্রত ও স্বামী গোপাল মজুমদার গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছেন বলে সন্দেহ। তাঁরাই দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ি বের করে দেহ ফ্রিজারে রেখে দেন। এখন ঘটনা হল, কেন এমন করেছিলেন শুভব্রত? তার দাবি, মা-কে তিনি ভালোবাসতেন। মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তাই দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ি বের করে তাতে রাসায়নিক ভরে ফ্রিজারে রেখে মা-কে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন শুভব্রত।
গোটা ঘটনা শুভব্রতর বাবা তথা বীণাদেবীর স্বামী গোপাল মজুমদার জানতেন। তবে ছেলের চাপে কাউকে কিছু জানাতে পারেননি। এদিন পুলিশ গিয়ে ফ্রিজারে দেহ উদ্ধার করা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক উদ্ধার করেছে।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে আরও একটি ফ্রিজার! তাহলে কি বাবার জন্যও বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন শুভব্রত ]