মোমিনপুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, কেন NIA-কে জানানো হল না? উঠল প্রশ্ন
মোমিনপুর অশান্তির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরেও কেন NIA কে জানানো হয়নি? মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় সম্প্রতি ফেরাতে
মোমিনপুর অশান্তির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরেও কেন NIA কে জানানো হয়নি? মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় সম্প্রতি ফেরাতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? তাও জানতে চায় আদালত।
এই বিষয়ে বেলা দুটোর সময় রাজ্যকে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে মোমিনপুর এলাকা। ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্রুত মোতায়েনের দাবি ওঠে সর্বস্তরে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিক প্রধান বিচারপতি। সেই বিষয়টিকে উল্লেখ করে চিঠি লেখেন এক ব্যক্তি।
শুধু তাই নয়, ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আরত সেই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা অর্থাৎ এনআইএ'কে কেন ডাকা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বাগচী।
শুধু তাই নয়, সম্প্রীতি ফেরাতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর এরপরেই মোমিনপুর সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
যেমন নিরাপত্তার জন্য কি করা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাও জানতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি ফেরাতে মোমিনপুরের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করে বিজেপি। উলুবেড়িয়ার ঘটনার পর প্রধান বিচারপতি নির্দেশ ছিল এই ধরণের ঘটনার অনুমান থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যেতে পারে। এলাকায় রুট মার্চ ও NIA এর দাবি জানানো হয় দুটি মামলায়।
অন্যদিকে একবালপুরের ঘটনায় কড়া কলকাতা পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিচার করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। গত ১০ তারিখ থেকে আজ ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১৪৪ জারি থাকবে বলে জানানো হয় এক বিজ্ঞপ্তিতে। একবালপুরে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও জমায়েত করা যাবে না এই সময়ে।
এমনকি একাধিক ব্যক্তি কোথাও দাঁড়িয়ে গল্প কিংবা কিছুই করতে পারবে না বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে। অন্যদিকে অশান্তির ঘটনায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। প্রাউ ৪০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ স্যত্রে খবর।
যুদ্ধ থেকে করোনা, মহাবিপাকে ইন্টেল হাঁটবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে