তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে হঠাৎ কেন কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়করা, তবে কি শেষের দিন শুরু
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের বাড়িতে হঠাৎ কেন এলেন কংগ্রেস সাংসদ? তা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কংগ্রেস সাংসদ তৃণমূল যোগদানের প্রসঙ্গ উড়িয়ে ছিলেন আবার মেজাজও হারিয়েছিলেন এই প্রশ্নে। তার দু-সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠকে জল্পনার পারদ চড়ছে।

মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসে ভাঙন ক্রমশ বাড়ছে। চারজন বিধায়ক পা বাড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলে। তাঁদের সোমবার তৃণমূলে যোগদানের কথা ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যোগদানের কথা থাকলেও, তাঁরা হঠাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদানের আর্জি জানান। তারপরই স্থগিত রাখা হয় ২ জুলাই চার বিধায়কের যোগদানের।
এখন রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের আরও কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এই অবস্থায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব সংকেট পড়তে বসেছে। বিধানসভায় কার্যত অস্তিত্ব হারাবে কংগ্রেস। এই মর্মে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কংগ্রেস না ভাঙার আর্জি জানিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
কিন্তু তারপরও কংগ্রেস ক্ষয়রোগ সারেনি। এই অবস্থায় সবথেকে বেশি জল্পনা হচ্ছে মালদহের প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরীকে নিয়ে। তিনি হঠাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসায় রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ চরম উঠেছে। কান পাতলেই আলোচনা শোনা যাচ্ছে, তবে কি শুভেন্দু অধিকারীর কথাই সত্য। মুর্শিদাবাদের পর মালদহেও কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না।
এমনরকী গনি-পরিবারেও এই ভাঙন রেখা কংগ্রেসের পক্ষে সুখদায়ক নয়। এই অবস্থায় প্র্দেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী কী করে দলকে রক্ষা করবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কিংবা প্রশ্ন উঠছে অধীর চৌধুরী কী করবেন? তাহলে কি রাজ্যে জাতীয় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।
শুধু ডালুবাবুই নন, মৌসম বেনজির নুরকে নিয়েও নানা জল্পনা চলছে। তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মালদহের দুই বিধায়কও। একজন সমর মুখোপাধ্যায়, আর অপরজন হলেন সাবিনা ইয়াসমিন। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু। সঙ্গে ছিলেন ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকও। যদিও তাঁরা বলেন, যোগদান নয়, দিল্লির নির্দেশে পার্থবাবুর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেই তিনি এসেছিলেন।