‘ধর্ষক’কে ফোন করে কী বলতে চেয়েছিলেন! আইনি সওয়ালে উঠে পড়ল চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন
নয়া মোড় নিল বালিগঞ্জ-কাণ্ড। যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন গৃহবধূ, তাঁকেই কেন ফোন করেছিলেন, তা নিয়েই উঠে পড়ল প্রশ্ন। সোমবার আলিপুর আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী এই প্রশ্ন তোলেন।
নয়া মোড় নিল বালিগঞ্জ-কাণ্ড। যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন গৃহবধূ, তাঁকেই কেন ফোন করেছিলেন, তা নিয়েই উঠে পড়ল প্রশ্ন। সোমবার আলিপুর আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী এই প্রশ্ন তোলেন। তাতেই নতুন করে মোড় নিয়েছে বালিগঞ্জের ধর্ষণ-কাণ্ড। উল্লেখ্য, বলিগঞ্জের অভিজাত পরিবারের বধূ অভিযোগ করেছিলেন, ভাসুরের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করতেন স্বামী। বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
এরপরই অভিজাত পরিবারের দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয় সোমবার। সেখানেই তাদের আইনজীবী বিচারকের সামনে প্রশ্ন তোলেন, কী করে যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মহিলা, তাঁকেই ফোন করেছিলেন বাড়িতে ফিরে আসার জন্য।
সেইসঙ্গে তাঁদের আরও প্রশ্ন, যে পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁর এত অভিযোগ, সেই পরিবারের সঙ্গে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করলেন ওই গৃহবধূ? ধৃত সুরঞ্জন সেন ও নীলাঞ্জন সেনের আইনজীবীরা আরও অভিযোগ করেন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লক-আপে চশমা পর্যন্ত পরতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তরুণী গৃহবধূ জানান, ২০০৪ সালের ২৬ জানুয়ারি তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর থেকেই তাঁর উপর নানা কারণে অত্যাচার করা হত। স্বামীর বিকৃত লালসার শিকার হতেন তিনি। কিন্তু তাহলে পুলিশের দ্বারস্থ হতে দেরি করলেন কেন, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি বাড়ির গেটে হাজির হন অভিযোগকারিনী। ভিতরে ঢুকতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। ক্রমেই প্রকাশ হয় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বউ বদলের প্রথা আছে ওই অভিজাত পরিবারে- এমন অভিযোগও সামনে আসে।