বাড়িতে আরও একটি ফ্রিজার! তাহলে কি বাবার জন্যও বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন শুভব্রত
ছয় মাস আগে বাড়িতে আর একটি ফ্রিজার কেনা হয়েছিল। কেন? তাহলে কি বাবার মৃত্যুর পরও একই বন্দোবস্ত করার কথা ভেবে রেখেছিলেন শুভব্রত?
দুই বছর আগে বাড়িতে প্রথম ফ্রিজার আসে। সেটার মধ্যে বীণাদেবীর দেহ শুইয়ে রেখেছিলেন ছেলে শুভব্রত। তার ব্যাখ্যা, মা-কে খুব ভালোবাসতেন তিনি। সেজন্যই দেহ সৎকার করেননি। পুলিশ শুভব্রত ও তার বাবা গোপাল মজুমদারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
[আরও পড়ুন: কেন তিনবছর মায়ের দেহ ফ্রিজে রাখেন ছেলে! বেহালা কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ]
এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। যা বেশ চমকে দেওয়ার মতো। এর উত্তর সম্ভবত শুভব্রতই দিতে পারবেন। ছয় মাস আগে বাড়িতে আর একটি ফ্রিজার কেনা হয়েছিল। কেন? তাহলে কি বাবার মৃত্যুর পরও একই বন্দোবস্ত করার কথা ভেবে রেখেছিলেন শুভব্রত?
বানতলার একটি নামী লেদার সংস্থায় শুভব্রত কাজ করতেন। পাঁচ বছর আগে সেই চাকরি ছেড়ে দেন। পাড়ার লোকজনের সঙ্গেও মিশতেন না। মজুমদার বাড়িতে কী হচ্ছে তা নিয়ে তাই পাড়ার লোকের আগ্রহ ছিল। কেমন যেন একটা লুকানো ভাব ছিল। পড়শিরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন বীণাদেবীর কথা। স্পষ্ট করে সদুত্তর পাননি। সেজন্য কৌতুহলও ছিল।
বীণাদেবী ও গোপালবাবু দুজনেই এফসিআই-য়ে সরকারি চাকুরে ছিলেন। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, মায়ের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক থেকে পেনশনের টাকা তুলতেন শুভব্রত। এভাবেই চলছিল। এবার কী বাবার জন্যও একই ছক কষে রেখেছিলেন তিনি? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মাথায়।
প্রসঙ্গত, এক প্রতিবেশীর সন্দেহই শেষপর্যন্ত বীণাদেবীর দেহ উদ্ধারে সাহায্য করেছে। তিনি দেখেছিলেন ফ্রিজ খুলে কিছু একটা গোপনে করত শুভব্রত। জানালার পর্দা সরিয়ে তা দেখেন প্রতিবেশী। পরে বাড়িতে ফ্রিজার আসার পরে সন্দেহ গাঢ় হয়। ছয়মাস আগে আরও একটি ফ্রিজার বাড়িতে আনেন শুভব্রত। তাহলে কী অন্য কোনও প্ল্যান ছিল তার? এতকিছু না জেনে প্রতিবেশীরা শুধু পুলিশে যোগাযোগ করার পরই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়েছে। এখন দেখার দ্বিতীয় ফ্রিজার বাড়িতে রাখার কী যুক্তি সামনে আসে।