কে এই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কী তাঁর সম্পর্ক
মিল্লি আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ে কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুটার সদস্য থাকলেও ২০১৪-তে তিনি যোগ দেন তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপায়।
মিল্লি আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ে কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুটার সদস্য থাকলেও ২০১৪-তে তিনি যোগ দেন তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপায়। সেখানে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তিও ছিল অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন:মেয়রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ব্যক্তিগত! পদে না থাকলেও পাশে থাকবেন, বার্তা বৈশাখীর]
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য এক পরিচয়ও আছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক মনোজিত মণ্ডলের স্ত্রী তিনি। মনোজিত মণ্ডল প্রথম থেকেই বাম বিরোধী এবং তিনি ওয়েবকুপার সদস্য। কিন্তু বৈশালী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ছিলেন ওয়েবকুটায়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মিল্লি আমিন কলেজের পরিচালন কমিটির তৎকালীন সভাপতি সুলতান আহমেদের সঙ্গে গণ্ডগোলের জেরে কলেজে ঢুকতে বাধা পান বৈশালী। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। ওয়েবকুটার পদাধিকারীরা জানিয়েছেন, সেই সময় বৈশালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরি বাঁচাতে পাশে দাঁড়িয়েছিল ওয়েরকুটা। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো ছাড়াও, মানবাধিকার কমিশন এমন কী রাজ্যপালের কাছেও বৈশালীর জন্য দরবার করেছিল ওয়েবকুটা। ২০১৪ সালে বৈশালী বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়েবকুটার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে ওয়েবকুপার যোগ দেন।
পরবর্তী সময়ে কলকাতার সাংবাদিক মহলেও তাঁর যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যেত।
ওয়েবকুপায় অবস্থানের জেরে তৃণমূলের পদাধিকারী মহলে তাঁর পরিচিতি বাড়তে থাকে। যোগাযোগ গড়ে ওঠে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক পদস্থ আমলা এবং মন্ত্রীর সঙ্গে।
বেশ কিছুদিন আগে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডিলিট দিয়ে সম্মানিত করে আমেরিকার ডেলওয়ারের কেইআইএসআইই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সেই অনুষ্ঠানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে ছবি ছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন ছড়ায় বিভিন্ন মহলে।
সম্প্রতি মেয়রের নিরাপত্তা জেড প্লাস থেকে কমিয়ে জেড করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ববি হাকিমের নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেড প্লাস করে দেওয়া হয়। দিন কয়েক আগেই ভেঙে দেওয়া হয় তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েরকুপার রাজ্য কমিটি। বাদ দেওয়া হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর ঘনিষ্ঠের এই পদ থেকে অপসারণ খুব একটা ভাল ভাবে নেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি।