শিয়রে বিধানসভা ভোট, পুরভোট কি তবে বিশ বাঁও জলে! ফিরহাদের মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত
এগিয়ে আসছে বিধানসভা ভোট। ফেব্রুয়ারি মাসেই হয়তো নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কবে হবে রাজ্যের পুরসভা ভোট এই নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম। এপ্রিলে বিধানসভা ভোট হলে কোনও ভাবে মার্চ মাসে পুরসভা ভোট করাবে না নির্বাচন কমিশন। করোনা সংক্রমণের আগে মাঝ পথেই আটকে গিয়েছিল পুরসভা ভোটের যাবতীয উদ্যোগ। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগেও সেই ভোট কমিশন করাতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

পুরসভা ভোট কবে
এগিয়ে আসছে বিধানসভা ভোট। ফেব্রুয়ারি মাসেই হয়তো বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে। এর মধ্যে কীভাবে হবে পুরসভা ভোট তা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কারণ একবার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষনা হয়ে গেলে পুরসভা কর্মীদেরও ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে। তারমধ্যে তাঁরা কোনও ভাবেই পুরভোটের প্রস্তুতি করতে পারবেন না। কাজেই বিধানসভা ভোটের আগে পুরসভা ভোট হওয়াটা কার্যত অসম্ভব। এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

পুরভোট ঘিরে নিশ্চয়তা
বিধান সভা ভোট এগিয়ে আসতে পুরসভা ভোট নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ একবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর পুরসভা ভোট করাতে পারবেন না। এর আগে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল মার্চ মাসে পুরভোট করাতে প্রস্তুত। কিন্তু তার কোনও আশা আর এখন দেখা যাচ্ছে না।

পুরসভা কাজে বিঘ্ন
পুরভোট না হওয়ার কারণে পুরসভা গুলি পুর প্রশাসক দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। কারোর কাছেই কাজ করার মতো পূর্ণ ক্ষমতা নেই। এতে প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন পুর প্রতিনিধিরাও। বিধানসভা ভোটের পর পুরসভা নির্বাচন হলে রাজনৈতির পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা। প্রথম দিকে বিজেপি পুর ভোট নিয়ে তৎপর হলেও এখন তেমন তৎপরতা দেখাচ্ছে না।

জুলাইয়ে কী পুরভোট
বিধানসভা নির্বাচন মার্চ এপ্রিল মাসে হলে জুলাই অগস্ট মাসের আগে পুরভোট করানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনেই মে মাস চলে যাবে। সেই জুলাই অগস্ট মাসে গিয়ে পুরভোট করাতে হবে নতুন সরকারকে।