রাজ্যে বিজেপির উত্থান নিয়ে কী মত রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের?
বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের পরই দ্বিতীয় স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছে অমিত শাহের দল। আর এই প্রেক্ষিতে বিপদ আঁচ করতে পারছে বিরোধী সিপিএমও।
কলকাতা, ২৭ এপ্রিল : পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি, তারাই ধীরে ধীরে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। ধারে-ভারে এরাজ্যে বিজেপি বাড়ন্ত তা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। শেষ কয়েকটি ছোট-বড় নির্বাচনের ফলাফলে চোখ রাখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
কিছুদিন আগে হওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপির উত্থান চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর মতো লড়াই এখুনি গেরুয়া শিবির দিতে না পারলেও লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের পরই দ্বিতীয় স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছে অমিত শাহের দল।
আর এই প্রেক্ষিতে বিপদ আঁচ করতে পারছে বিরোধী সিপিএমও। কারণ বিপদ সবচেয়ে বেশি তাদেরই। সিপিএম ভেঙেই দলে দলে মানুষ বিজেপিতে ভিড়ছেন, ভোট দিচ্ছেন। আর সেই সত্য ঠারেঠোরে বুঝতে পারছেন সিপিএম নেতারা। সেজন্যই বঙ্গে বিজেপির উত্থান নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই সিপিএম নেতাদের মনে।
বিজেপির উত্থান প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্য কমিটির বৈঠকে আলোচনা করেছেন। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির মোকাবিলাও যে সমান তালে করতে হবে সেটাও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
সিপিএমের মূল চিন্তা এখন দলীয় ভোটব্যাঙ্ককে বিজেপির দিকে চলে যাওয়া আটকানো। কারণ শেষ কয়েকটি স্থানীয় অথবা আঞ্চলিক নির্বাচনে বিজেপি সিপিএম-কংগ্রেসকে হারিয়ে তৃণমূলের পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আর গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে যে হারে বামেদের ভোট কমেছে, ঠিক ততটাই দ্রুতলয়ে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে।
ফলে এই ঘটনা মেনে নিয়েই তৃণমূল ও বিজেপি দুটি দলের বিরুদ্ধেই ধারাবাহিক আন্দোলনের টোটকা মাথায় রাখছে সিপিএম। তৃণমূল ও বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এই অভিযোগে পুস্তিকা তৈরি করে আগামিদিনে পাল্টা প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।