ভারতী ঘোষকে নিয়ে তৎপরতা সরকারি পর্যায়ে! 'কাছে টানতে' উদ্যোগ 'নতুন' দফতরের
ফের প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি। তবে এবারের হুলিয়া জারির বিজ্ঞাপনটি অভিনব। বিজ্ঞাপনটি দিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে দাসপুরের মামলায় ভারতী ঘোষ পলাতক।
ফের প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি। তবে এবারের হুলিয়া জারির বিজ্ঞাপনটি অভিনব। বিজ্ঞাপনটি দিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে দাসপুরের মামলায় ভারতী ঘোষ পলাতক। তবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত সেশন জাজের এসলাসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতী ঘোষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
তাঁর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার পর থেকে নাগালের বাইরে প্রাক্তন আইপিএম ভারতী ঘোষ। তবে বিভিন্ন সময়ে তাঁর কিংবা নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে অডিও বার্তা দিয়েছেন। মাসখানেক আগে সর্বভারতীয় একটি গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তাও দেন। কিন্তু তাঁকে এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি সিআইডি। দাসপুর মামলায় বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা, গয়না, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে আদালতেও পেশ করা হয়েছে।
এই মূহূর্তে ভারতী ঘোষের স্বামী এমএভি রাজু জেলা হেফাজতে রয়েছেন। ভারতী ঘোষ সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারেন। সম্পত্তি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে ইডি ও আয়কর বিভাগ, তার বিরুদ্ধেই তিনি আবেদন জানাতে পারেন। ভারতী ঘোষের দাবি, তথ্য গোপন করেছে সিআইডি। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও হুমকি দিয়ে রেখেছেন ভারতী ঘোষ।
মাদুরদহের জমি এবং তার ওপরে ফ্ল্যাট তৈরিকে কেন্দ্র করে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে উপার্জিত টাকা বিনিয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতী ঘোষের দাবি অনুযায়ী, মাদুরদহের জমির মালিক হিসেবে তৎকালীন ডিএসপির নাম হয়েছে। সেই সময় সোমালিয়ায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফলে বাড়ি তৈরির অনুমতিপত্রে তাঁর স্বামী এমএভি রাজুর নাম রয়েছে।
এর আগে নিজের স্বামীকে গ্রেফতারের পর ভারতী ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, রাষ্ট্রশক্তি তার পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। মিথ্যা মামলায় একজন নিরীহ চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে এমএভি রাজুকে রাখা নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন ভারতী ঘোষ। সেখানে মাওবাদী বন্দিরা থাকায়, এমএভি রাজুর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করেন ভারতী ঘোষ।
ভারতী ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি সিআইডিকে ১০ বছরের সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন ভারতী ঘোষ।