লকডাউনে হবে না, করোনাকে জব্দ করতে সুইডেন মডেলের পথে এগোচ্ছে বাংলা
লকডাউনে হবে না, করোনাকে জব্দ করতে সুইডেন মডেলের পথে এগোচ্ছে বাংলা
লকডাউনে কাজ হচ্ছে না। চিনও পারেনি। এবার তাই সুইডেন আর তাইওয়ানের মডেলই ভরসা। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সেই পথেই হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমনই মনে করছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। সেকারণেই সংক্রমণের আশঙ্কা দূরে সরিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহর কলকাতা।
সুইডেন ও তাইওয়ান মডেল
করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা বিশ্ব যখন লকডাউনের পথে হেঁটেছে তখন ঠিক উল্টো পথ ধরেছে সুইডেন এবং তাইওয়ান। লকডাউন না করে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি এবং ব়্যাপিড টেস্ট জরুরি। এমনটা বিশ্বাস করেই লকডাউনের পথে হাঁটেনি এই দুটি দেশ। তাতে ফল পেয়েছে তারা।
কোন পথে রাজ্য
করোনা সংক্রমণের যখন হু হু করে বেড়ে চলেছে রাজ্যে। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ১ জুন থেকে একাধিক ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন। ধর্মস্থানগুলি খুলে যাচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে দোকান বাজার, সেলুন স্পা, বিউটি পার্লার। ৮ জুন থেকে খুলে যাবে বেসরকারি দফতরগুলি। সোমবার থেকে ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সফর শুরু করবে ফেরি পরিষেবা। হাতে গোটা কয়েকটি জিনিস ছাড়া সবই খুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে।
সুইডেন মডেল অনুসরণ
লকডাউনের পথে না হেঁটে অধিকাংশ ক্ষেত্র সচল করে সুইডেনের পথেই হাঁটতে চলেছে বাংলা। এমনই মনে করছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। সেকারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব়্যাপিড টেস্টই যদি পথ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য। নমুনা জমে থাকলেও পরীক্ষা হচ্ছে না। যার কারণে জেলায় জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
পরিযায়ী শ্রমিক সংকট
রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। তার জেরে জেলায় জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিযায়ীদের ট্রেনে ঠাসাঠাসি করে পাঠানো হচ্ছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।