শিক্ষক সমাবেশে বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী, পুলিশের ঘেরাটোপে সভাস্থল ছাড়লেন পার্থ
শিক্ষক সমাবেশে বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী, পুলিশের ঘেরাটোপে সভাস্থল ছাড়লেন পার্থ
শিক্ষকদের (reacher) সমাবেশে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রী (education minister) থাকার সময়ই পার্শ্বশিক্ষকরা বিক্ষোভ (agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা খেলা হবে স্লোগানও দেন। এরপর পুলিশি ঘেরাটোপে সভাস্থল ছাড়েন শিক্ষামন্ত্রী।
ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ
এদিন ধর্মতলায় রানি রাসমনি রোডে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের অন্তর্গত ১৩ টি সংগঠন। এছাড়াও এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন আরও কয়েকটি শিক্ষক এবং অশিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। দীর্ঘদিন ধরেই বেতন কাঠামো-সহ একাধিক দাবি আন্দোলন করে আসছেন এসএসকে, এমএসকে, পার্শশিক্ষক-সহ ১৩ টি সংগঠনের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা নবান্ন অভিযান, বিকাশ ভবন অভিযানের মতো কর্মসূচি নিয়েছেন। কিন্তু পুলিশি বাধায় দমে যাননি। সম্প্রতি এই ১৩ টি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি শিক্ষক ও অশিক্ষক সংগঠন। যাঁদের নিয়ে গঠিত হয়েছে শিক্ষক সমন্বয় কমিটি নামে নতুন মঞ্চ। এদিন ধর্মতলায় এঁরা সবাই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ
এদিন বিকেলে সেখানে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মূলত সরকার যেসব সুবিধাগুলি দিচ্ছে তা জানাতেই শিক্ষামন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীকে সামনে পেয়েই তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের একসঙ্গে চিৎকারে উত্তাল হয়ে ওঠে সভাস্থল। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশও সতর্ক ছিল। জানা গিয়েছে, সেখানে বিক্ষোভ দেখান এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়া নতুন কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা নতুন কয়েকটি দাবি তোলেন।
আন্দোলনকারীদের পাশে বিরোধীরা
বাম, কংগ্রেস, বিজেপি সব বিরোধীই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বিক্ষোভ সভায় যোগ দিয়ে বিজেপির তরফে দাবি নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। ভোটের আগে আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠায় সরকারও এঁদের অবজ্ঞা করতে পারছে না, সেই কারণেই শিক্ষামন্ত্রীর যাওয়া, মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিধাবিভক্ত আন্দোলনকারীরা
রাজ্য সরকারের ভোট-অন-অ্যাকাউন্টে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ৩ শতাংশ ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবের পাশাপাশি অবসরকালীন ভাতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে গিয়েছেন। তবু কেন বিক্ষোভে পার্শ্বশিক্ষকরা, এই প্রশ্নের উত্তরে এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি মানার কথা জানালেও, তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে এদিন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভকে অনেকেই সমর্থন করতে পারছেন না বলে জানা গিয়েছে।
দেবী দুর্গাকে নিয়ে দিলীপের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিনব প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস