মমতার স্লোগান এখন দিলীপের মুখে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূলকে দিলেন চরম হুঁশিয়ারি
মমতার স্লোগান এখন দিলীপের মুখে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূলকে দিলেন চরম হুঁশিয়ারি
বিজেপির ( bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) দেওয়ার স্লোগান মিলে গেল প্রায় ২০ বছর আগে দেওয়া তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী (trinamool congress) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) দেওয়ার স্লোগানের সঙ্গে। এদিন তিনি কেশপুরের মাটিতে দাঁড়িতে, তৃণমূলের শেষপুর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি
ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় যোগ দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি রয়েছেন রথের সঙ্গেই। মাঝে মধ্যে রথ থামিয়ে চলপছে সভা। এই সেই রথ থামে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ সেখানে, নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আগের বছরে তিনি কেশপুরে এসেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তৃণমূল কাউকে পতাকা বাঁধতে দেয়নি। তাই এবার তাঁর হুঁশিয়ারি বেশি বদমায়েশি করলে কেশপুরকে তৃণমূলের শেষপুর করে ছাড়বেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যদি তৃণমূল বিজেপির যাত্রায় বাধা তৈরি করে তাহলে তাঁরা হাত বেঁধে বসে থাকবেন না।
২০০১ সালে মমতার হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেন ২০০১ সালে। সেই সময় কেশপুর রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত ছিল। সেই সময় তিনি কেশপুরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এবার নয়তো নেভার। সঙ্গে তিনি বলেছিলেন কেশপুরকে তিনি সিপিএম-এর শেষপুর বানাবেন।
কেশপুর আছে কেশপুরেই
বাম শাসনে কেশপুরে সিপিএম-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। আর সেখান থেকে যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন না কেন, লাখ খানেক ভোটে জয় তাঁর বাধা। ২০০১ সালের নির্বাচনে নন্দরানি ডল প্রায় লাখ খানেক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। পরের দুটি নির্বাচনে অর্থাৎ ২০০৬ এবং ২০১১-র নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে সেই কেশপুরের আসন ধরে রেখেছিল সিপিএম। সারা বাংলায় পরিবর্তন হলেন কেশপুর গড়বেতা ছিল আগের মতোই। তবে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই অবশ্য এইসব এলাকায় সিপিএম-এর দাপট কমে। ২০১৬-র নির্বাচনে তৃণমূলের শিউলি সাহা প্রায় লক্ষ ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে দেন। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত কেশপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রায় ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ভোটের দিন সেখানে গিয়ে তাড়া খেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। স্থানীয়রা বলেন, সিপিএম-এর হাত থেকে শুধুমাত্র ক্ষমতা পরিবর্তন হয়ে চলে গিয়েছে তৃণমূলের হাতে।
পাখির চোখ কেশপুর
শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির পাখির চোখ কেশপুর। ভোটের রসায়ন হাতে পেয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, লালমাটির দিলীপ ঘোষ আর বালুমাটির শুভেন্দু অধিকারী মিলে পুরনো মেদিনীপুরকে ৩৫-০ করবেন। আর দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দিলীপ ঘোষও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, কেশপুর হবে তৃণমূলের শেষপুর। তবে ফল কী হয়. তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মে মাস পর্যন্ত।
হলদিয়ার পর মোদী আসছেন চুঁচুড়ায়! কীসের ভিত্তিতে প্রাধান্য পাচ্ছে এই বিধানসভা এলাকা