দলত্যাগে আসন কমল কংগ্রেসের! আব্দুল মান্নান আদৌ কি থাকছেন বিরোধী নেতা
বিধানসভায় সংখ্যার নিরিখে এখন এগিয়ে রয়েছে বামফ্রন্ট। তাদের সংখ্যা ৩০। অন্যদিকে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬-এ। ফলে পরিষদীয় শক্তির নিরিখে বিরোধী দলের তকমা যাওয়ার পথে কংগ্রেসের।
বিধানসভায় সংখ্যার নিরিখে এখন এগিয়ে রয়েছে বামফ্রন্ট। তাদের সংখ্যা ৩০। অন্যদিকে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬-এ। ফলে পরিষদীয় শক্তির নিরিখে বিরোধী দলের তকমা যাওয়ার পথে কংগ্রেসের। আর আব্দুল মান্নানের বিরোধী দলনেতা থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূলের একাংশ।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। বামেদের আসন ছিল বেশ কিছুটা কম। পরবর্তী প্রায় দুবছর সময়ে দুই শিবির থেকেই বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তুলনায় বামেদের থেকে কংগ্রেসের ভাঙন হয়েছে বেশি।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ৪ কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় এখন কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ২৬। শনিবার তৃণমূলের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আবু তাহের, আখরুজ্জমান, সাবিনা ইয়াসমিন এবং সমর মুখোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, বিরোধীদলনেতার পদের দাবি করতে রাজি নয় বাম নেতৃত্ব। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মানুষের দাবি তুলে ধরতে বিধানসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় বজায় রাখা হবে।
যদিও তৃণমূলে বিধায়করা যোগ দিলেও, বিধানসভায় এই যোগ দেওয়ার তথ্য জানানো হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কেননা বিধানসভায় এই তথ্য জানানো হলেই, ইস্তফা দিয়ে ফের নিজ নিজ কেন্দ্রে লড়তে হবে সেইসব বিধায়কদের। বিষয়টি নিয়ে দলত্যাগী বিধায়ক ও দলত্যাগে উৎসাহ দেওয়া তৃণমূল উভয়েরই সমালোচনা করেছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।