অনলাইনের মাধ্যমেই বদলির আবেদন করতে পারবেন অধ্যাপকরাও! কিন্তু কীভাবে
একের পর এক দুর্নীতি! শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। এমনকি শিক্ষক বদলি নিয়েও একাধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। যা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষা দফতরকে। এই অবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে চা
একের পর এক দুর্নীতি! শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। এমনকি শিক্ষক বদলি নিয়েও একাধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। যা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষা দফতরকে। এই অবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে চাইছে শিক্ষা দফতর। এবার সেই লক্ষ্যে অধ্যাপকদের বদলিও অনলাইনের আবেদনের ভিত্তিতে করতে চায় রাজ্য সরকার।
আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে শিক্ষা দফতর। এমনটাই খবর।
স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি ইতিমধ্যে অনলাইনে পোর্টালের মাধ্যমে হয়ে থাকে। গত কয়েকমাস আগেই উৎসশ্রী নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বদলির আবেদন করে থাকে। এমনকি তাঁরা নিজেরাই দেখতে পান কোন স্কুলে কোন বিষয়ে জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেই অনুযায়ীই আবেদন করা যায়। এবার এমনই একটা পোর্টাল আনতে চলেছে শিক্ষা দফতর। যার মাধ্যমে কলেজের অধ্যাপকরাও বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বদলি বিধি চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে।
তথ্য বলছে সরকারের সাহায্য প্রাপ্ত চারশোরও বেশি কলেজ আছে। প্রায় ১৩ হাজার অধ্যাপক রয়েছেন। এই পোর্টাল চালু হয়ে গেলে খুব সহজেই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। বর্তমানে সরকারে কাছে আবেদন করে বদলি চেয়ে থাকেন অধ্যাপকরা। যা অনেক দীর্ঘ মেয়াদী। এবং অনেক ক্ষেত্রেই বদলি নিয়ে প্রশ্ন পর্যন্ত ওঠে। এই অবস্থায় বদলির নয়া পদ্ধতি আনতে চায় সরকার। আর নয়া এই ব্যবস্থাতে অধ্যাপকরা বাড়িতে বসে কিংবা কলেজ বসেই বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে সেটিও ওই পোর্টালের মাধ্যমে জানা যাবে। আর তা দেখেই কেন্দ্রীয়ভাবে অনালাইনের মাধ্যমে অধ্যাপকরা আবেদন করতে পারবেন বলেই খবর। এটা অনেক সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে বদলি নীতিতে বেশ কিছু বদল শিক্ষা দফতর আনছে বলেই খবর। তবে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, স্বচ্ছতার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই অনলাইনে বদলির ব্যবস্থা আনা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খুব শীঘ্রই নতুন বদলি বিধি চালু হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, দু-একদিনের মধ্য বদলির নয়া পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে।
সূত্রে খবর এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। সর্বস্তরে আলোচনা করে এই বদলি বিধি তৈরি হতে পারে বলেই খবর। অন্যদিকে রাজ্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কলেজের অধ্যাপকরা।