রাজস্থানের পর এবার বাংলাতেও গণপ্রহার রোধে আইন! কেন্দ্রকে উপদেশ দিলেন মমতা
কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের পর তৃণমূল শাসিত বাংলাতে এবার গণপ্রহার রোধে আইন আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের পর তৃণমূল শাসিত বাংলাতে এবার গণপ্রহার রোধে আইন আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে জনতার ওপর হামলা, গণপ্রহারের মতো কার্যকলাপকে অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। এদিকে এই বিল পাশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকেও এই ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য উপদেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার
রাজ্য
বিধানসভায়
পেশ
করা
হয়েছিল
দ্য
ওয়েস্ট
বেঙ্গল
(
প্রিভেনশন
অফ
লিঞ্চিং)
বিল,
২০১৯।
শাসক
দল
তৃণমূল
তো
ছিলই,
এই
বিলে
সমর্থন
জানায়
বিরোধী
কংগ্রেস
এবং
বামদলেরাও।
অন্যদিকে
বিধানসভার
অভ্যন্তরে
না
হলেও
শক্তিতে
প্রধান
বিরোধী
হিসেবে
প্রতিপন্ন
হওয়া
বিজেপি
এই
বিলকে
সমর্থনও
জানায়নি,
বিরোধিতাও
করেনি।
তবে
তাদের
অভিযোগ,
রাজনৈতিক
স্বার্থ
সিদ্ধির
জন্যই
এই
বিল
আনা
হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
রাজ্য
সরকার
গণপ্রহার
রোধে
উদ্যোগ
নিলেও,
কেন্দ্র
এখনও
পর্যন্ত
সেরকম
কোনও
উদ্যোগ
নেয়নি।
তিনি
বলেন,
গণপ্রহার
হল
সামাজিক
ব্যাধি।
এর
বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে
সবাইকে
এগিয়ে
আসার
ডাক
দেন
তিনি।
বিলে
অভিযুক্তদের
হাজতবাসের
কথা
বলা
হয়েছে।
গণপ্রহারে
অভিযুক্তদের
তিন
বছর
থেকে
যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডের
কথা
বলা
হয়েছে
এই
বিলে।
আক্রান্তের
মৃত্যু
হলে
অভিযুক্তের
যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডের
পাশাপাশি
৫
লক্ষ
টাকা
জরিমানার
কথাও
বলা
হয়েছে।
ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে গণপিটুনিতে যেমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেই গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যেও। উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় যেমন গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, তেমন তা ঘটেছে কসবা, কাশীপুর এবং কালীঘাটে। পশু চুরি হোক কিংবা ছেলে ধরা, গণপিটুনিতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল গণপ্রহার আটকাতে রাজ্যগুলিতে সুসংহত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি দেশ জুড়ে গণপিটুনি রুখতে সংসদে আইন তৈরির পরামর্শও দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে এই আইন চালু হয়েছে। প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে আলাদা করে গণপ্রহার কিংবা গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নেই। সেই কারণের রাজস্থান সরকার এই আইন চালু করেছে।