নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে জখম বাম সমর্থকের মৃত্যু, তীব্র নিন্দায় মান্নান
নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে জখম বাম সমর্থকের মৃত্যু, চাপ বাড়ল মমতা সরকারের
বামেদের নবান্ন অভিযানের পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বাম সমর্থক। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম নামে বাম সমর্থক বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানর জন্য শহরে এসেছিলেন। বাম সমর্থক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছিলেন তিনি। আরও অনেকের সঙ্গে তাঁর অবস্থাও আশঙ্কা জনক ছিলেন। ডিওয়াইএফআই নেতার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপরেই সোমবার সকালে তিনি মারা যান। কড়া নিন্দায় সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম।
বামেদের নবান্ন অভিযান
গত বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করেছিল বামেরা। কর্মসংস্থান থেেক শিক্ষা ৬ দফা দাবিতে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান হয়। বামেদের সেই অভিযান রুখতে পুলিশ নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের আটকানো হয়। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা বাম কর্মী সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ।
বাম সমর্থকের মৃত্যু
বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে জখম বাম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে সোমবার। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। সোমবার সকালে মারা যান তিনি। পুলিশ নির্মম ভাবে তাঁকে মেরেছিল বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএন নেতা ফুয়াদ হালিম। তাঁর তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা চলছি। গতকাল রাত থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিডনি ফেল করে মারা যান বাম নেতা। পেশায় অটো চালক মইদুল বহস্পতিবার শহরে এসেছিলেন নবান্ন অভিযানের জন্য। দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মইদুল।
তীব্র নিন্দায় মান্নান
বাম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। স্বৈরাচারী সরকার। পুলিশের নির্মম অত্যাচারেই বাম সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রবল ভাবে আহত হয়েছেন েদখার পরেও পুলিশ তাঁর উপর নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেছে অন্য বাম কর্মী সমর্থকরা।
তীব্র নিন্দায় সুজন
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন পুলিশ সরকার খুন করেছে মইদুলকে। এটা মৃত্যু নয় খুন। শহিদ হয়েছেন মইদুল। বাম কর্মী সমর্থকের এই মৃত্যু কোনও ভাবেই মেনে নেেব না বামেরা। এর জবাব নবান্নকে দিতে হবে বলে হুঙ্কার গিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। দলের কর্মী সমর্থকরা ইতিমধ্যেই হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা।