কৈলাশ ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে, সিআইডি তদন্ত চাই, আলিপুর আদালতে বিস্ফোরক দাবি পামেলার
কৈলাশ ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে, সিআইডি তদন্ত চাই, আলিপুর আদালতে বিস্ফোরক দািব পামেলার
মাদক কাণ্ডে এবার নাম জড়াল কৈলাশ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের। শনিবার আলিপুর আদালতের লকআফ রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাকেশ সিং চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারি চাই। ঘটনার সিআইডি তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী। শুক্রবার দুপুরে নিউ আলিপুরে মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পামেলার বিস্ফোরক দাবি
শুক্রবার নিউ আলিপুর থেকে নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেফতারের পর শনিবার বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁ সঙ্গী প্রবীর কুমার দে-কে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে নিয়ে আসার পথে পামেলা সাংবাদিকদের দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ নেতা রাকেশ িসং তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। রাকেশ সিংয়ের গ্রেফতারি দাবি করে তিনি সিআইডি তদন্ত চেয়েছেন।
গ্রেফতার পামেলা
গতকাল নিউ আলিপুর থেকে মাদক পাচারের সময় হাতে নাতে ধরা পড়েন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পামেলা গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী প্রবীর কুমার দেকেও। তিনিও সক্রিয় বিজেপি নেতা। পামেলার হ্যান্ড ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে কোকেন। তাঁর গাড়ি থেকে বিপুল পরিমান কোকেন উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ১০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে বিজেপি নেত্রীর গাড়ি থেেক। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকার মতো।
প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ
বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে পামেলার। যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পাশাপশি হুগলি জেলা বিজেপি যুব মোর্চার পর্যবেক্ষকও তিনি। নিউটাউনে একটি বিউটি পার্লার চালান পামেলা। সেখান থেকেই প্রবীর দে-র সঙ্গে যোগাযোগ। দুজনেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সেখান থেকেই মাদক পাচারের কারবার শুরু করা বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের কাছে খবর ছিল। শেষে শুক্রবার একেবারে পরিকল্পনা করে বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
কীভাবে মাদক পাচার
পুলিশ সূত্রে খবর বিজেপি নেত্রী পামেলা এব তাঁর সঙ্গী প্রবীর দে প্রায় প্রতিদিনই নিউ আলিপুরের কোনও না কোনও রাস্তায় গাড়ি নিয়ে আসতেন।তাঁদের সঙ্গে থাকত নিরাপত্তা রক্ষীও। পামেলার ও প্রবীর গাড়ি থেকে নেমে যেতেন। গাড়িতেই থাকতেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। রাস্তায় বাইক নিয়ে কয়েক জন আসতেন তাঁদের কাছে মাদক নিয়ে চলে যেতেন।