যোগী রাজ্যের মতোই রাজ্যে নাটকীয় পরিস্থিতি! অমিত শাহের সিদ্ধান্ত নিয়ে আশাবাদী দিলীপ ঘোষ
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা থেকে লড়াই করুন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এমনটাই চাইছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা থেকে লড়াই করুন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এমনটাই চাইছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয় ভাবে পরিবর্তিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের যুক্তি
যদি নরেন্দ্র মোদী পুরী থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কেন অমিত শাহ কলকাতা থেকে নয়? সবাই জানেন, বারানসি থেকে মোদীর লড়াইয়ের পর উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি কী হয়েছিল। মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
তৃণমূলের তরফে অবশ্য দিলীপ ঘোষের এই ধরনের মন্তব্য খানিকটা হাস্যকর হিসেবেই নিচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাদের খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ, রাজ্যের ৪২ টি আসনের যে কোনও একটি থেকে লড়াই করুন। ফল পাবেন হাতে-নাতে।
সরকারি ভাবে কলকাতা থেকে অমিত শাহের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে এখনও কোনও সিলমোাহর পড়েনি। পুরী থেকে মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী, দলের কর্মীরা আশা করছেন। সেই কথাই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষের আশা বার্তা পৌঁছে যাবে অমিত শাহের কাছে। তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি বিবেবচনা করবেন বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। কেননা ২০১৯-এর নির্বাচন বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়েছেন তিনি।
অমিত শাহের টার্গেট
কয়েক মাস আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় বিজেপির জন্য টার্গেট বেধে দিয়েছেন। রাজ্যের অন্তত অর্ধেক আসন জেতার ব্যাপারে টার্গেট দিয়েছিলেন তিনি। এই মূহূর্তে রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে দুটি।
মোদী সাফল্য, মমতার ব্যর্থতা তুলে ধরা হবে
দলের
টার্গেটের
দিকে
লক্ষ্য
রেখে,
ডিসেম্বরের
প্রথম
সপ্তাহ
থেকে
রাজ্যে
রথযাত্রা
শুরু
করছে
বিজেপি।
রাজ্যের
তিন
জায়গা
থেকে
রথযাত্রা
শুরু
হবে।
জানুয়ারির
মাঝামাঝি
সময়ে
গিয়ে
তা
শেষ
হবে
কলকাতায়।
বীরভূমের
তারাপীঠ
থেকে
রথযাত্রা
শুরু
হবে
৫
ডিসেম্বর।
কোচবিহার
ও
সাগর
থেকে
রথযাত্রা
শুরু
হবে
যথাক্রমে
৭
ও
৯
ডিসেম্বর।
রথযাত্রার
মাধ্যমে
কেন্দ্রীয়
সরকারের
সাফল্য
তুলে
ধরার
পাশাপাশি
রাজদ্যে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ব্যস্ততার
কথাও
তুলে
ধরা
হবে।
জানিয়েছেন
দিলীপ
ঘোষ।
রথযাত্রার
মাধ্যমে
রাজ্যে
গণতন্ত্র
বাঁচানোর
ডাকও
দেওয়া
হচ্ছে
বলে
জানিয়েছেন
দিলীপ
ঘোষ।
রাজ্য
প্রশাসনের
কাছে
রথযাত্রার
অনুমতির
জন্য
আবেদন
করা
হলেও,
এখনও
কোনও
সাড়া
পাওয়া
যায়নি
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করতে চায় বিজেপি।