বজ্রপাত বাড়ছে! তার থেকে বাঁচার উপায়ও আছে, জেনে নিন বিস্তারিত
ভারতে যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। একটি সমীক্ষায়ে দেখা দিয়েছে এবছরের এপ্রিলে অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩ ঘণ্টায় ৩৬,৭৪৯ টি বজ্রপাত হয়েছে।
ভারতে যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। একটি সমীক্ষায়ে দেখা দিয়েছে এবছরের এপ্রিলে অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩ ঘণ্টায় ৩৬,৭৪৯ টি বজ্রপাত হয়েছে। ঠিক একবছর আগে এই এলাকায় শুধুমাত্র মে মাসে প্রায় ৩০ হাজার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছিল।
ভারতে বর্ষায় সময়ে বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বজ্রপাত অস্বাভাবিক কিছু নয়। ২০০৫ সাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভারতে প্রতিবছরেই বজ্রপাতে ২০০০-এ বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমেরিকায় যেখানে মৃত্যুর সংখ্যাটা ২৭। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মূলত দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতেই বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ছে।
বজ্রপাত বাড়লেও, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ও আছে। সেগুলি দেখে নেওয়া যাক এক নজরে
১)
পাকা
বাড়ির
নিচে
আশ্রয়
নিতে
হবে।
ঘন
ঘন
বজ্রপাত
হলে
কোনও
অবস্থাতেই
খোলা
বা
উঁচু
জায়গায়
থাকা
উচিত
নয়।
বজ্রপাতের
সময়
ধানক্ষেতে
থাকলে
তাড়াতাড়ি
নিচু
হয়ে
যেতে
হবে।
বাড়ির
ছাদ
কিংবা
উঁচু
কোনও
জায়গায়
থাকলে
দ্রুত
সেখান
থেকে
নেমে
যাওয়া
ভাল।
২)
উঁচু
গাছপালা
ও
বিদ্যুতের
লাইন
থেকে
দূরে
থাকাই
ভাল।
বজ্রপাত
হলে
উঁচু
গাছপালা
বা
বিদ্যুতের
খুঁটিতে
বজ্রপাতের
সম্ভাবনা
বেশি
থাকে।
তাই
এইসব
জায়গার
কাছাকাছি
জায়গায়
না
যাওয়াই
ভাল।
৩)
বজ্রপাতের
সময়
জানলা
থেকে
দূরে
থাকা
ভাল।
জানলা
বন্ধ
করে
ঘরের
ভিতরে
আশ্রয়
নিলে
ক্ষতির
সম্ভাবনা
কম
থাকে।
৪) বজ্রপাতের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা উচিত নয়। এমন কী ল্যান্ডলাইন টেলিফোন স্পর্শ করা উচিত নয়।
৫) বজ্রপাতের সময় টিভি-ফ্রিজের মতো বিদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে বজ্রপাত হতে পারে আন্দাজ করতে পারলে এইসব জিনিসের প্লাগ খুলে দিন।
৬) বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। গাড়ির কাঁচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
৭) বজ্রপাত হতে থাকলে সেই সময় রাস্তায় বের না হাওয়াই মঙ্গল।
৮) বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতো বা খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। যদি একান্তই বেরোতে হয়, তাহলে ঢাকা জুতো পরে বের হোন। রবারের গাম্বুট এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে।
৯) জল বিদ্যুৎ পরিবাহী হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় পুকুর বা জলাশয়ে থাকলে সরে পড়া জরুরি।
১০)
বজ্রপাতের
সময়
নিচু
হয়ে
বসুন।
যদি
বজ্রপাতের
উপক্রম
হয়,
তাহলে
কানে
আঙুল
দিয়ে
নিচু
হয়ে
বসে
পড়ুন।
চোখও
বন্ধ
রাখুন।
তবে
মাটিতে
শুয়ে
পড়বেন
না।
মাটিতে
শুয়ে
পড়লে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
হওয়ার
সম্ভাবনা
বাড়ে।
১১)
বাড়ি
সুরক্ষিত
করুন।
বাড়িকে
বজ্রপাত
থেকে
নিরাপদ
রাখতে
প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা
নিন।
এজন্য
আর্থিং
সংযুক্ত
রড
বাড়িতে
স্থাপন
করতে
হবে।
তবে
এক্ষেত্রে
দক্ষ
ইঞ্জিনিয়ারের
পরামর্শ
নিতে
হবে।
ভুল
ভাবে
স্থাপিত
রড
বজ্রপাতের
সম্ভাবনা
বাড়িয়ে
দেয়।
১২)
বজ্রপাতে
কেউ
আহত
হলে,
বৈদ্যুতিক
শকে
আহতদের
মতো
চিকিৎসা
করতে
হবে।
প্রয়োজনে
দ্রুত
চিকিৎসকের
কাছে
কিংবা
হাসপাতালে
যেতে
হবে।
একইসঙ্গে
বজ্রাহত
ব্যক্তির
শ্বাস-প্রশ্বাস
ও
হৃদস্পন্দন
ফিরিয়ে
আনার
চেষ্টা
চালিয়ে
যেতে
হবে।
বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত
বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত
বজ্রপাতের পরে কী করবেন